সাজিয়া আক্তার : দখলদারদের খপ্পরে দুর্ঘটনার মাত্র পাঁচ বছরেই হারিয়ে যেতে বসেছে রানা প্লাজার জায়গা। অবৈধ্য স্থাপনায় কারণে চোখে পরে না শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত একমাত্র ভাস্কর্য। রানা প্লাজার পরিত্যক্ত জায়গার গত বছরের চিত্র ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ ছিল চারপাশ। আর এক বছরে সেই জায়গার কোনো উন্নতি তো হয়নি বরং বেড়েছে অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম। বিভিন্ন ধরণের অবৈধ স্থাপনায় ঢেকে গেছে স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশ।
আহত শ্রমিক ও নিহত স্বজনদের দাবি, অনেকেই তুলেছেন ছোট ছোট দোকান।
রানা প্লাজার জায়গায় নির্মিত দোকানদার বলেন, আমাদের এখানে দোকান খুলতে নিষেধ করে, আমরা অনেক সময় দোকান বন্ধ করে দেই তারপরও আবার দোকান খুলে।
রানা প্লাজার ট্রেজেডির পর এই জায়গার মালিকানা বাজেয়াপ্ত করে সরকার। কোনো স্থাপনা নির্মাণের বিষয়েও আছে নিষেধাজ্ঞা।
হাজার শ্রমিকের স্মৃতি ঘেরা রানা প্লাজার এই জায়গায় কী হবে তা জানেনা কেউ। অবৈধ্য স্থাপনায় দখল হয়ে গেছে এর অনেকটাই। আহত শ্রমিক ও নিহত পরিবারের দাবি এই জায়গায় ভবন করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হক।
নিষ্ঠুর ট্রাজেডির স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে এই জায়গার সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য গাড়ি রাখার স্ট্যান্ডও, চালুর অপেক্ষায় আছে আরো কিছু অবৈধ দোকান।
রানা প্লাজায় আহতরা বলেন, ক্ষতিপুরণ কিছু দেয়নি, যা দিয়েছে তা চিকিৎসা করতে করতেই শেষ। বাহিরের লোকজন যারা অবৈধ্যভাবে দোকান করে বসে আছে তাদের উচ্ছেদ করে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকের স্বজনদের এই জায়গায় কিছু করতে দেওয়া হোক।
নিয়ম বহির্ভুতভাবে নির্মিণ করা রানা প্লাজা ধসে পরে ২০১৩ সালে, এতে নিহত হয় ১১’শ এর বেশি শ্রমিক। আহত হয় আড়াই হাজারেরও বেশি।
ইন্ডিপেনন্ডেন্ট টেলিভিশন থেকে মনিটর