শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:১৩ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে প্রথমবারের মতো আসতে পারেন একজন নারী

আবুল বাশার নূরু: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ও ১২ মে। সম্মেলনকে ঘিরে চলছে জোর প্রস্তুতি। ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনটির শীর্ষ দু’টি পদে কারা আসছেন তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সরাসরি ভোটের মাধ্যমে শীর্ষ দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে নাকি সিলেকশন করে দেওয়া হবে তা নিয়েও সংগঠনটির অভ্যন্তরে নানা গুঞ্জণ রয়েছে। ছাত্রলীগের কর্তমান নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপরই সার্বিক বিষয়গুলো নির্ভর করছে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কারাগারে থেকে ভোটের মাধ্যমে ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০২ সাল থেকে প্রতিটি সম্মেলনেই সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আসছেন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সংগঠনটির সদস্যদের সরাসরি ভোটেই এবারও ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। আর সংগঠনটির ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রথমবারের মতো একজন নারীকে দেখা যেতে পারে।

১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে কোন নারীকে দেখা যায়নি। তবে ২০০২ সালের সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মারুফা আকতার পপি। লিয়াকত শিকদার ও নজরুল ইসলাস বাবু কারাগারে বসে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘদির তারা কারাগারে ছিলেন। সে সময় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন মারুফা আকতার পপি। আর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী সাইফুজ্জামান শিখর। পপি ও শিখরের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ছিল। বিরোধ ও কোন্দল খুব একটা ছিল না। রাজপথে সংগঠনটি সাহসী ভূমিকা পালন করেছিল। সংগঠনটির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজিসহ নেতিবাচক কোন অভিযোগ ছিল না। এমন মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা।

ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে এবার একজন নারীকে দেখা যেতে পারে, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আকতার পপি এই প্রতিবেদককে বলেন, অবশ্যই ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে একজন নারীকে আনা উচিত। নারীরা এখন পিছিয়ে নেই। যোগ্যতা দিয়েই নারীরা এগিয়ে চলেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলের নেতা, স্পিকার পদে নারীরা রয়েছেন। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ছিলেন নারী। তারা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পপি বলেন, আমি যখন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম তখন আমি নিজেকে নারী হিসেবে চিন্তা করিনি। আমার সহকর্মীরাও খুব সহযোগীতা করেছেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কোনও নারীকে আনা হলে সে খুবই ভাল করবে বলে বিশ্বাস করি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর জিএস ছিলেন। বর্তমান জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি পদ থেকে কিছুদিন আগে বিদায় নিয়েছেন লাকি আক্তার।
আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটোরদের প্রায় অর্ধেকই নারী। তাই ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে একজন নারীকে আনা হলে সেটি ভালই হবে। ছাত্রীদের মাঝে রাজনীতিতে আসার আগ্রহ আরও বেশি সৃষ্টি হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়