লিহান লিমা: ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর এ নিয়ে সপ্তমবারের মত জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করল তুরস্কের শীর্ষ নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আঙ্কারাকে অনেকবার এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আহ্বান ও অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছরের ১৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ব্যর্থ চেষ্টার পাঁচ দিন পর থেকে জরুরি অবস্থা জারি হয়। সমালোচকরা বলছেন, এর সুযোগ নিয়ে বিরোধী দল ও গণমাধ্যমের ওপর ধর-পাকড় চালানো হচ্ছে।

বুধবার এরদোগানের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকের পর দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, তারা আরো তিনমাসের জন্য জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির সুপারিশ জানাতে একমত হয়েছে। ডনের খবরে বলা হয়, পরবর্তী ধাপে দেশটির সংসদ মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমতি দেবে কিন্তু সেটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র । উল্লেখ্য, বর্তমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, সামরিক অভ্যুত্থানের জন্য এরদোগানের সাবেক মিত্র ও মার্কিন-ভিত্তিক মুসলিম আধ্যাত্মিক নেতা ফতেউল্লাহ গুলেন ও তার হিজমেত মুভমেন্টকে দায়ী করে তুরস্ক। তবে গুলেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তুরস্ক ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে কুর্দিসহ ৫০ হাজারেরও বেশি নাগরিককে আটক করেছে। এছাড়া উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশ অফিসার, বিচারক, আমলা, শিক্ষকসহ ১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তুরস্কের বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি সোমবার ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে র‌্যালির আয়োজন করে। তারা জানায়, জরুরি অবস্থা বাক-স্বাধীনতা ছাড়াও অর্থনীতির জন্য হুমকি। বিশেষ করে বিগত কয়েকমাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে তুর্কি লিরার পাঁচ শতাংশ দরপতন হয়েছে। ডন।