জান্নাতুল ফেরদৌসী: ভোলার ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া ও চরফ্যাশনের বিভিন্ন চরাঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে বিদেশী উচ্চ ফলনশীল জাতের তরমুজ। চাষিরা কৃষি বিভাগের সহযোগিতার অভাবে তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। প্রয়োজনীয় বীজ, ঋণ সুবিধা ও জমির পর্যাপ্ত উর্বরতা থাকলেও রয়েছে পরিবহন সমস্যা। চলতি বছর ভোলায় তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৫ শত হেক্টর হলেও আবাদ হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১ শত ৬০ হেক্টর জমিতে। ফলে গত বছরের চেয়ে ৭’শ কোটি টাকার কম উৎপাদন কম হবে বলছেন চাষিরা।
ভোলার মাটি পর্যাপ্ত উর্বর থাকায় হেক্টর প্রতি ৫০ টনেরও বেশি ফলন পাওয়া যায়। প্রতি বছর তরমুজ বিক্রি করে হাজার কোটি টাকা আয় করে কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে বিরূপ আবহাওয়ার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের সহযোগিতার অভাবে তরমুজ চাষ থেকে সরে আসছেন কৃষকরা। রোগ-বালাই দেখা দিলেও সময়মত পাওয়া যায় না কীটনাশক। পাশে থাকে না কৃষি বিভাগও।
এছাড়া পরিবহন সমস্যার কারণেও উৎপাদিত তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতে পারছেন না তারা। গত বছর ৯৩৭ কোটি টাকা আয় হলেও এ বছর আড়াই থেকে ৩’শ কোটি টাকা আয় হতে পারে ধারণা কৃষকদের।
তবে তরমুজ চাষ কমে যাওয়ার পেছনে বিরূপ আবহাওয়াকেই দায়ী করলেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :