ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন আহমেদ : বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আগামি ৮ মে আরেকটি শুনানি করা হবে। ৮ মের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবি সহ কোর্টে কাগজ পত্র তৈরি করার জন্য বলা হচ্ছে উভয় পক্ষকেই। বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকার জন্য তিনটি পক্ষ জড়িত আছে। ১, রাষ্ট্র ২, খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা ৩, দুর্নীতি দমন কমিশন। এই তিন পক্ষই কাগজ পত্র তৈরি করে সেটি জমা দিতে হবে কোর্টে। এবং সেটির বিচারাধীন প্রক্রিয়ায় বিচার করতে হবে। এখন একটি মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরই আরেকটি মামলার পরওয়ানা জারি করা হয়।
একজনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা দেওয়া হয়, সেটি রাজনৈতিক কারণেও দেওয়া হয়। তাকে জেল দেওয়ায় জন্য অনেকেই অভিযোগ করেছেন। যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন । তারা বলেছেন যে, বিরোধী দলের নেত্রীর জামিন হওয়ার পরেও তাকে আরেকটি মামলার দায়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, বর্তমান সরকার তাকে জেল থেকে বের হতে না হতেই আরেকটি মামলার দায়ে গ্রেফতার করাটি হচ্ছে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
রাজনৈতিক কারণে তাকে জেলে আটকিয়ে রেখেছে সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একই কথা বলছেন। খালেদা জিয়াকে স্বাভাবিক ভাবে এবং সঠিক দুর্নীতির মামলার দায়ে জেল দিলে কোন লোক কিছু বলতেন না। যখন রাজনৈতিক ভাবে তাকে জেলে দেওয়া হয়েছে, তখন এ বিষয় নিয়ে সবাই কথা বলছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার বিরোধী দলের নেত্রীকে জেলে আটকিয়ে রাখছে, যা সঠিক নয়।
পরিচিতি : আইনজীবি, সুপ্রিম কোর্ট/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ