আবু মুত্তালিব মতি, আদমদীঘি (বগুড়া): বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের কাংখিত বগুড়ার আদমদীঘি সদরের খাড়ির ব্রিজ সংলগ্ন শ্বশান ঘাটিতে পাক-হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার চার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে অবশেষে ৪৭ বছর পর গতকাল সোমবার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাদেকুর রহমান এই স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন। এসময় উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফুল আরেফীন, উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবু হেলাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুল হামিদ, ডেপুটি কমান্ডার আবির উদ্দিন, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানসহ নেতৃবর্গ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনতার জন্য পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এই উপজেলায় ৫শতাধিক যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ২৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এদের মধ্যে আদমদীঘি সদরে পাক-হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে কোমারপুর গ্রামের আব্দুল জলিল আকন্দ, চকসোনার গ্রামের আলতাফ হোসেন, কাঞ্চনপুর গ্রামের মনসুরুল হক টুলু ও আব্দুস ছাত্তার আটক হন। এরপর পাক-হানাদার বাহিনী বীর এই চার মুক্তিযোদ্ধাকে আদমদীঘি থানায় আটক রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় ৪দিন ধরে প্রকাশ্যে শারীরিক নির্যাতন করার পর ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর আদমদীঘি সদরের খাড়ির ব্রিজ সংলগ্ন শ্বশান ঘাটিতে দিনের বেলা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। ১৯৯৬ সালে উপজেলা পরিষদ থেকে এখানে স্মৃতিস্তম্ভের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর ও ফলক তৈরী করে রাখা হলেও নির্মান হয়নি।
অবশেষে গতকাল সোমবার এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের ফলে মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসীর কাঙ্খিত আশা পূরণ হতে চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :