ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের সাবেক ইন্টার্ন মনিকা লিউনস্কি বলেছেন, তাদের এ সম্পর্ক ছিল পুরাদস্তুর ক্ষমতার অপব্যবহার। তবে এটি কোনো যৌন নির্যাতন ছিল না।
নিজের থেকে ২৭ বছর বড় তখনকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়েছিলেন ২২ বছরের লিউনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রে হ্যাশ মি টু আন্দোলনের পর নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনে একটি লেখা লিখেছেন তিনি।
লিউনস্কি বলেন, এই কেলেঙ্কারির পর তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
তাদের এ সম্পর্ক যখন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার শুরু হয় এবং তা আদালতে পর্যন্ত গড়ায়, তখন তিনি সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও একঘরে হয়ে গিয়েছিলেন। আর এতেই তার ভেতরে মানসিক বিপর্যয় ঘটে।
১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের সংবাদ উপাদান হিসেবে সবার আগে ছিল তাদের এই সম্পর্কের বিষয়টি। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন প্রথমে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে অসামাজিক ঘনিষ্ঠ শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
তখন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানরা ক্লিনটনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। রিপাবলিকানদের যুক্তি ছিল- প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে মিথ্যা বলেছেন। যদিও তাদের সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যায় ও ক্লিনটন ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন।
লিউনস্কি বর্তমানে ৪৪ বছরে পা রেখেছেন। তিনি ২০১৪ সালে নিজের একটি মন্তব্যই সমর্থন করে গেছেন। তিনি তখন বলেছিলেন- তাদের সেই সম্পর্ক ছিল দুজনের সম্মতিতে। কিন্তু দুজনের ভেতরে ক্ষমতার বিশাল ফারাক ছিল।
তিনি বলেন, সেই সময়ে সম্পর্কের পরিণতি নিয়ে তার এতটা বোঝাপড়া ছিল না। কিন্তু ব্যাপারটি নিয়ে তিনি প্রতিদিনই অনুশোচনা করেন।
লিউনস্কি বলেন, অভিধানে সম্মতির একটি সংজ্ঞা দেয়া আছে। তা হল- কাউকে কোনো কিছু করতে অনুমতি দেয়া। কিন্তু তার অবস্থান ও পদ বিবেচনায় নিলে ‘কিছু’র মানে কী দাঁড়িয়েছে? তিনি ছিলেন এই গ্রহের সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান মানুষ। আমার চেয়ে ২৭ বছরের বড়। জীবন সম্পর্কেও ছিল তার বিশাল অভিজ্ঞতা।
২০১৪ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসেন হোয়াইট হাউসের সাবেক এই ইন্টার্ন। এর পর থেকে নিয়মিত তিনি সাইবার জগতের উত্ত্যক্ততার বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছেন। সূত্র: নিউজ ২৪