মতিনুজ্জামান মিটু : কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, মমতা ভালবাসা মনুষ্যত্ব ও মানবতা দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। শুক্রবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিরোধীতার নামে বিরোধীতা আমাদের কপালের লিখন। কয়েকটা পেস্টিসাইড কোম্পানীর জন্য আমরা সময়ের চাহিদাকে অস্বীকার করতে পারিনা। আমাদেরকে জিএম ফসলের দিকে যেতে হবে। আমরা পেট ভরে খাওয়ার জায়গায় পৌচেছি। ২ বেলার জায়গায় আমরা এখন ৩ বেলা খাওয়ার কথা ভাবি। দানাদার খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রাকৃতিক দূর্যোগের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলার সক্ষমতা আমাদের হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আমদানী করি। তবে তা প্রকাশ্যে। পুষ্টিমান সম্মত খাবারের অপ্রতুলতা এবং ভেজাল খাবার দুটোই আমাদের দূ:খের কারণ। পুষ্টি মান সম্পন্ন ও ভেজালমুক্ত খাবারের নিশ্চয়তা ছাড়া আমরা কাংখিত মেধা ও মননের দিকে যেতে পারবনা। খারাপ খবর কারো কারো জন্য ভাল খবর হলেও জাতির জন্য তা দূ:খের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অনুষ্ঠান অন্যান্য বিশেষ অতিথির মধ্যে বক্তব্য দেন, খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো.কামরুল ইসলাম ও জাতীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা। সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি দেশের প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। ভেজাল ও দুষণমুক্ত খাবার নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। ‘নিরাপদ খাদ্যে ভরবো দেশ, সবাই মিলে গড়বো সোনার বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে সারা দেশে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’২০১৮। দিবসটিকে ঘিরে আলোচনা সভা, র্যালী ও মেলাসহ দু’দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক বর্নাঢ্য র্যালী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু এবং ওসমানি স্মৃতি মিলানায়তন প্রাঙ্গনে শেষ হয়। আলোচনা সভা শেষে একই স্থানে দু’দিনের নিরাপদ খাদ্য মেলা উদ্বোধন করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ অন্যান্য অতিথিরা মেলার ষ্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। মেলায় সরকারি বেসরকারি ২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :