শিরোনাম
◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ◈ ডাকসুতে শিবিরের জয়—প্রচারণা, কৌশল নাকি জনপ্রিয়তা? ◈ জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিল- প্রস্তাব জামায়াতের ◈ ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রা: ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছেছে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ◈ কাতারে ইসরায়েলি হামলা: পরাশক্তির মিত্র হয়েও বন্ধুহীন দোহা? ◈ মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা : জামায়াত নেতা আযাদ ◈ মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:২০ রাত
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী, ছেলে বিজেপির প্রার্থী

অনল রায় চৌধুরী, আগরতলা : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমীর রঞ্জন বর্মন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন। আর তার সুদীপ রায়বর্মণ লড়বেন বিজেপির প্রার্থী হিসেবে। রাজ্যটির ভোট রাজনীতিতে এটি এক নয়া সমীকরণ।

জানা গিয়েছে, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিশালগড় কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। অন্যদিকে তার ছেলে সুদীপ রায়বর্মণ লড়ছেন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। তিনি বিজেপি প্রার্থী। ফলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে ফের বাবা ও ছেলে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে দেখা যেতে পারে রাজনীতির লড়াইয়ে।

যদিও সমীরবাবু নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তাঁর অনুগামীরাই এসব মনে করছেন। এদিকে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ধৈর্য ধরো। কী খেল দেখাবেন সমীরবাবু তাই নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

বিশালগড় কেন্দ্র থেকেই সমীরবাবু ১৯৭২, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৩ সালে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৩ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছিলের বিরোধী দলনেতা। এমনই হেভিওয়েটে কংগ্রেস প্রার্থী ছেলের মতোই দলত্যাগ করেছিলেন। তৃণমূল শিবিরে নাম লেখানোর পর পরে তাঁকে বহিষ্কার করে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস। তারপর সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন সমীরবাবু। মনে করা হচ্ছিল তিনি রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনে বিশালগড় কেন্দ্রে সিপিএমের ভানুলাল সাহার কাছে ১০২৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন সমীররঞ্জন বর্মন। সেই কেন্দ্র থেকেই সমীরবাবু ফের লড়তে চাইছেন এই খবরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ফলে কেন্দ্রটি ঘিরে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দলের মধ্যে চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। বিশালগড় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। উপরন্তু সমীরবাবুর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে।

এদিকে বাবা আচমকা নির্বাচনে লড়তে চাইছেন এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সুদীপ রায়বর্মনের তরফে। তিনি রাজ্যে বিজেপির প্রধান মুখ, তথা অন্যতম বিরোধী নেতা। পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপবাবু ও তাঁর পাঁচ অনুগামী। তাঁরা দলত্যাগ করায় ত্রিপুরা বিধানসভায় কংগ্রেস বিরোধী আসনের মর্যাদা হারায়। তৃণমূল কংগ্রেস উঠে আসে শক্ত বিরোধীপক্ষ হয়ে। এরপর দলত্যাগ করে সুদীপবাবু ও তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে তৃণমূল হারিয়েছে শক্তি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়