প্রিন্স মাহামুদ আজিম : ‘সহায়ক সরকার কিংবা সংবিধান অনুযায়ী নয়,আগামী নির্বাচন হবে ভিন্ন পন্থায়।’ কিন্তু ভিন্ন পন্থাটি কি হতে পারে সেই ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যায় না গিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি টিভিএনএকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দুইটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির আশা-আকাক্সক্ষা ও জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা মিলিয়ে আগামিতে নির্বাচনটা হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী যা হয়েছে রাতারাতি সেটা পরিবর্তিত হয়ে নতুন কিছু হবে। এটা আশা করা যায় না। তবে গত নির্বাচন থেকে অপেক্ষাকৃত একটা ভালো নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই সময়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ একটা তৃতীয় বিশ্বের দেশ। এখানকার জনগণের সাথে সরকারের সম্পর্ক ব্রিটিশ সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্ক, উন্নত বিশ্বের মত সম্পর্ক নয়। দেশের জনগণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ না হয়ে ব্যক্তি স্বার্থে নিজস্ব রাজনৈতিক দলমুখী হয়ে চিন্তা করে। যার দল ক্ষমতায় আসবে সে দলের সদস্যদের উপকার হওয়াটাই মুখ্য বিষয়। সতের কোটি মানুষের মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষও তাদের কর পরিশোধ করে না। এতে করে রাষ্ট্রের সাথে জনগণের সম্পর্কটা অংশীদারিত্বমূলক না হওয়ায় এখানে আন্তরিকতা নেই। যার ফলে সাধারণ জনতার মাঝে বিভক্ত জনমত সৃষ্টি হয়। সরকারী দলের লোকদের মাঝে অনেক শক্তিশালী লোক সৃষ্টি হয়েছে। যারা এখন নিজেরাই দন্দ্বে জড়াচ্ছে। বিরোধী দল দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় বিরোধী দল সরকারি দলের সাথে সংঘর্ষে যাওয়ার অবস্থায় নেই। তাই আশা করা যায় আগামী নির্বাচনে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দেশের প্রধান দুইটা দলই চায়নি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনটা হোক। কেননা বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করলে জাতীয় নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসতে পারে ভেবে সরকার আরও কঠিন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারতো। অপরপক্ষে নির্বাচনে বিএনপি পরাজিত হলে সরকার কারচুপি করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে এমন অভিযোগ উঠতো। তাই বর্তমান সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী এই নির্বাচন কোন দলের জন্যই ফলপ্রসূ ছিলনা।