ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরী শিক্ষাকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সেভাবে দেওয়া হয়নি। এটির বিভিন্ন কারণ আছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে দেশের উন্নতি নিয়ে কাজ করতে ছিলেন। সে সময়ে বুয়েটের একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কেরানী তৈরির শিক্ষা প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। আমাদের কারিগরী বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আমাদের জাতিকে শিক্ষায় সমৃদ্ধ করতে হবে। তার এই দিক নির্দেশনাটি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে আর এগিয়ে নিতে পারিনি। কারণ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তার হত্যাকারীরা দেশ শাসন করেছে। এই হত্যাকারীরা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি চায়নি। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম স্কিল হউক, তা চায়নি। তবে এখন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ শিক্ষার ঝোঁকটি বেশি। আবার যারা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না, তারা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে যারা দেশে পড়াশোনা করে তারা ভালো চাকুরী পায় না। আবার যারা বিদেশে যায় তারাও স্কিল না হওয়ার কারণে ভালো পজিশনে যেতে পারে না। এটি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে, দেশে কারিগরী শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষায়ও কারিগরী এবং প্রযুক্তিগত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু অনার্স, মাস্টার্সের শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে ভালো জাতি গঠন করা সম্ভব নয়। তাই দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি কলেজ বেশি করে তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা একটি স্কিলড জাতি পাব।
পরিচিতি : সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম, সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :