সাইদুর রহমান : পানি পান করারও আদব রয়েছে। ইসলামী শরিয়তে পানাহারের যাবতীয় নিয়ম কানুন বলে দেয়া হয়েছে। যা স্বাস্থ্যসম্মত। পানি পান করার নিয়ম তিন শ্বাসে পান করা। নবীজী তিন শ্বাসে পান করতেন। হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত,নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পান করতেন তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলতেন, এভাবে পান করলে কষ্ট কম হয় এবং তা পিপাসা নিবারণে অধিক কার্যকর ও স্বাস্থ্যসম্মত (পন্থা)। (আবু দাউদ, হাদীস ৩৭২৭)
আরেকটি নিয়ম হলো, পান করার সময় পাত্রে শ্বাস না ফেলা। পান করতে গিয়ে অনেক সময় আমরা গ্লাসে শ্বাস ফেলি। পান করতে করতে শ্বাস ফেলার প্রয়োজন হয়। তখন মুখ থেকে পানপাত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত। পাত্রে শ্বাস ফেলাটা ক্ষতিকর। আমাদের শ্বাসের সাথে বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই পান করার সময় শ্বাস ফেলতে হলে মুখ থেকে পানপাত্র সরিয়ে তারপর শ্বাস ফেলা। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কেউ যখন পান করে, সে যেন (পান)পাত্রে শ্বাস না ফেলে। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ১৫৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৭
সেবনের আরেকটি আদব হলো, বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা। আমরা জগ বা কলস থেকে গøাসে পানি ঢেলে পান করি। কিন্তু সরাসরি পানির জগ বা কলসে মুখ লাগিয়ে পান না করা। এতে করে জগ একটু বেশি উঁচু হলেই আমার মুখের ধারণ ক্ষমতা থেকে বেশি পানি বের হয়ে আসে এবং নাকে পানি উঠে যায় বা মুখ ভরে পানি গড়িয়ে পড়ে। জামা ভিজে যায়। এটি ঠিক নয়। বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান করব না। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মশকে (চামড়ার তৈরি পানির পাত্র) মুখ লাগিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৫৬২৮