ডেস্ক রিপোর্ট : সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে বলেন, এই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক যুদ্ধাপরাধীদের জোট মরিয়া হয়ে উঠেছে। যদি তারা বুঝতে পারে সংবিধান অনুযায়ী অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না, নির্বাচন বানচালের জন্য তারা যেকোনও অসাংবিধানিক পথ অবলম্বন করতে পারে। যা ২০১৪ সালের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে জয়ী করার জন্য এখন থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় পুঁজি হচ্ছে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৭২-এর সংবিধান। এই পুঁজি ব্যবহারে আওয়ামী লীগের কার্পণ্য কিংবা অনিহা জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অবস্থানকে শক্তিশালী করবে। মাঠ পর্যায়ে সরকারের জঙ্গী দমন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অঙ্গণে প্রশংসিত হলেও তাবৎ জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসের গডফাদার জামায়াতের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। বরঞ্চ রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মৌলবাদীকরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে ১৪ দলীয় মহাজোটের জন্য বিএনপি বা জামায়াতের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিজেদের দলের অনুপ্রবেশকারীরা, যারা দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগে ঢুকেছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে ও জেলা নেতা অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রতন কুমার রায়, নারীনেত্রী নুরজাহান খান, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, রাজনীতিক স্বপন সেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজল, যুবলীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা জিসান জায়সী ইসলাম, চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা সনাতন চক্রবর্ত্তী বিজয়, নির্মূল কমিটির জেলা নেতা অমিতাভ সেন, নাজমুল আলম খান, ফয়সাল চৌধুরী, সুরজিত দত্ত সৈকত, এমদাদুল হক এমদাদ, রাজিব ভট্টাচার্য, সাজিদুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আবু ছালেহ নুর চৌধুরী রিমন, অসীত বরণ বিশ্বাস, বাবলু আচার্য শ্রাবণ, বেলাল হোসেন, আবদুল হাকিম প্রমুখ।