ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: ধূমপান করা একটি বদ অভ্যাস। এই বদ অভ্যাসটা দিন দিন মানুষের মাঝে বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। ইসলাম ধূমপান করাকে পছন্দ করে না। যারা ধূমপান করে ইসলাম তাদেরকে ধূমপানের এই বদ অভ্যাস ছাড়তে বলে। কিন্তু কেন ইসলাম ধূমপান করতে নিষেধ করে? তাছাড়া কথা হচ্ছে ইসলামে আসলে হারামের সংজ্ঞা কি? ইসলামে হারামের সংজ্ঞা হচ্ছে, যে সকল জিনিস ইসলামী আইন দ্বারা নিষিদ্ধ তাই হারাম। একজন মানুষের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর মূলত ইসলাম সেগুলোকেই নিষিদ্ধ করেছে। একজন ব্যক্তি যা পান করলে অথবা ভক্ষণ করলে তার ক্ষতি হবে এই বিষয়গুলোকে কখনো ইসলাম সমর্থন করে না। কুরআন ধূমপান করার ক্ষেত্রে সরাসরি নিষিদ্ধ করে না। তবে আচরণগত দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, তোমরা অনিচ্ছায় যেসব অর্থহীন শপথ করে ফেল সেগুলোর জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করবেন না, কিন্তু আন্তরিকতার সাথে তোমরা যেসব শপথ গ্রহণ করো সেগুলোর জন্য অবশ্যি পাকড়াও করবেন। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও সহিষ্ণু। (সূরা- বাকারাহ, আয়াত- ২২৫)
ইসলামি পন্ডিতরা ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কিছু মতামত প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রথম কথা হচ্ছে, যা কিছু পরিষ্কার এবং সুন্দর তাই হালাল আর যা কিছু অপরিষ্কার এবং ক্ষতিকর তাই হারাম। এই ক্ষেত্রে ধূমপান করা একটি ভালো অভ্যাস নয়। ধূমপান করলে কারও কোনো প্রকার উপকার তো হয়ই না। বরং ক্ষতি হয়। ধূমপান শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিরই ক্ষতি করে না যে ব্যক্তি ধূমপান করে তার পরিবারের লোকদেরও ক্ষতি করে থাকে। সুতরাং, যে সব জিনিসগু আপনার এবং অন্যান্যের জীবনে এই প্রভাবগুলি নিয়ে আসে তা স্পষ্টতই হালাল নয়।
একবার কেউ একজন ডাক্তার জাকির নায়েককে জিজ্ঞেস করে ছিলেন ধূমপান হরাম কি না? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে ধূমপানের কারণে যত মানুষের মৃত্য হচ্ছে সন্ত্রাসীদের কারণেও এতো মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না। সুতরাং যে বিষয়টি সমাজে এতো বেশি খারাপ প্রভাব ফেলে সেটা হালাল হতে পারে না।