বিনোদন ডেস্ক: প্রতিবছরের মতো এবারও ঝলমলে এবং জমজমাট এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো ২৪তম স্ক্রিন অ্যাকটরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের পর স্ক্রিন অ্যাকটরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডকেই বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড বলা হয়। একারণে এবারও যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাঘা-বাঘা তারকার হাট বসেছিল ২২ জানুয়ারি। এবারের আসরে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয় বর্ষীয়ান অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানকে।
অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সুবক্তাও বটে। আফ্রিকান বংশোদ্ভুত এ অভিনেতা জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকার টেনেসির মেম্ফিসে। ১৯৩৭ সালের ১ জুন জন্ম নেয়া এ অভিনেতা শিক্ষকের সন্তান। তার পিতামাতা মর্গান পোর্টারফিল্ড ফ্রিম্যান ও নি রিভারি। তার শৈশব কেটেছে মিসিসিপি ,গ্যারি ,ইন্ডিয়ানা, শিকাগোর মত বিভিন্ন জায়গায়। মর্গান ফ্রিম্যান এর অভিনয় জীবন শুরু হয় মাত্র নয় বছর বয়সে তার স্কুলে একটি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর তিনি ব্রডস্ট্রীট স্কুলে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। তিনি মাত্র বার বছর বয়সে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত নাট্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জেতেন। প্রথম তার তার নাট্যকলা প্রদর্শিত হয় ‘হ্যালো ডলি’ এর মিউজিকের মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে ব্রডস্ট্রীট থেকে তিনি স্নাতক সম্পূর্ণ করেন ,তিনি জ্যাকসন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাট্যকলায় স্কলারশিপ পান। এরপর তিনি রাডার টেকনিশিয়ান হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি লস এঞ্জেলসে চলে যান এবং সেখানে অভিনয়ের ওপর পেসাডেনা নাট্যশালায় শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালের গোড়ার দিকে নাচের ওপর সানফ্রান্সিস্কোতে শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলসে প্রতিলিপি কেরানি হিসেবে কাজ করেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কে বাস করেন এবং ১৯৬৪ সালের ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। এ সময়ে ফ্রিম্যান সানফ্রান্সিস্কোর অপেরা রিং মিউজিক্যাল থিয়েটার গ্রুপের একজন সদস্যও ছিলেন।
মর্গান ফ্রিম্যান দ্য রয়েল হান্ট অফ দ্য সান ট্যুর কোম্পানির ভার্সনে অভিনয় করেন এবং চলচ্চিত্রে একজন এক্সট্রা অভিনেতা হিসেবে ১৯৬৫ সালে তাকে দেখা যায় ‘পউনব্রোকার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, যেখানে তার চরিত্র ছিল একজন পথচারীর । তার অভিনয় জীবনের পূর্ণাঙ্গ অভিষেক হয় মূলত ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘হু সেইস আই কান্ট রাইড এ রেইনবো’তে । তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ১৯৭৩ সালে রিলিজ পাওয়া চলচ্চিত্র ‘ব্লেড’ । এরপর টিভি মুভি ‘আউট টু লন্স’ তে তিনি অভিনয় করেন । ১৯৭১-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি টিভি সিরিয়াল ‘দ্য ইলেকট্রিক কোম্পানি’তে অভিনয় করেন । ১৯৮০ সালের পর থেকে ফ্রিম্যান চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন। ‘ড্রাইভিং মিস ডেইজি(১৯৮৯)’, ‘গ্লোরি(১৯৮৯)’, ‘দ্য শোশাংক রেডেমশান(১৯৯৪)’ এর মত বেশকিছু চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের চলচ্চিত্রজগতে দারুণভাবে অভিনয়ের নান্দনিকতার প্রকাশ ঘটান।
সূত্র : স্ক্রিন অ্যাকটরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড-এর ওয়েবসাইট