শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:২৫ সকাল
আপডেট : ২২ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৯:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবির শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিঘ্নিত হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই: ড. সৈয়দ আনোয়ার

আশিক রহমান: লেখাপড়ার গুণগত মান নিশ্চিত, সেশনজট কমানোসহ বেশকিছু সমস্যা নিরসনে ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ৭ কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এরপরও সব কলেজে সময় মতো পরিক্ষা ও ফল প্রকাশ হয়নি। একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ঠিক সময়ে ফল প্রকাশ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আন্দলনে নামে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ঢাবির শিক্ষার্থীরা এ অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে। এমন অবস্থায় ঢাবি শনিবার তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, প্রস্তুতি ছাড়াই সাত সরকারি কলেজের অধিভুক্তির ফলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলেছেন, প্রশাসনিক শৈথিল্যতার কারণে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। তবে অধিভুক্ত হওয়ায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিঘ্নিত হয়নি বলেও মনে করেন তারা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার আগে ঢাকা বিভাগের সব কলেজই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছিল। তাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিঘ্নিত হয়নি। সাতটি সরকারি কলেজ অধিভুক্ত হওয়ার ফলে ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিঘ্নিত হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই বলে মনে করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন আন্দোলন করছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে আন্দোলনটি মোকাবিলা করছে তা নিয়ে আমার নানাবিধও প্রশ্ন আছে। আমাদের দেশের যে কোনো আন্দোলন মানেই জ্বালাওপোড়াও, ভাঙচুর। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে আমি ব্যতিক্রম আশা করেছিলাম, সেটা হয়নি। আবার ঢাবি কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে, এটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। কারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হচ্ছেন শিক্ষক। তারা শিক্ষকদের সন্তানতুল্য। সন্তানের বিরুদ্ধে পিতা কখনো মামলা করতে পারেন না। যা করা উচিত ছিল, সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী যারা তাদের সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মেই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। সব মিলিয়েই ক্রমেই পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের অভাবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন কলেজ অধিভুক্ত করার পরে ঢাবির যে ধরনের প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা অনেকদিন নেয়নি। অনেকটা হালকাভাবে নিয়েছিল তারা। তাতে অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের অনেক সমস্যা হয়েছে। আমি মনে করি, ত্রুটি ঢাবি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যায় উভয়েরই আছে। তবে মূল সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক শৈথিল্যতা থেকে, যা এখন মোটামুটি ঠিক আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়