শিরোনাম
◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ◈ এ‌শিয়া কা‌পে ওমানকে হারা‌লো আরব আমিরাত ◈ বাংলাদেশ দলের বিরু‌দ্ধে আমা‌দের চ্যালঞ্জ নি‌য়ে খেল‌তে হ‌বে: আফগানিস্তান কোচ ◈ বাংলাদেশি পাসপোর্ট সহ টিউলিপের ট্যাক্স ফাইলের খোঁজ পেয়েছে এনবিআর ◈ জলদস্যুদের ধাওয়ায় ট্রলারডুবি: ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ১৮ জেলের জীবনরক্ষা ◈ চীনের ঋণে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:৩৫ সকাল
আপডেট : ২১ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে

ডেস্ক রিপোর্ট  : তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে পাকিস্তানে। আগামী ২রা মার্চ সেখানে সিনেট নির্বাচন। এরপরই শুরু হবে এ নিয়ে আলোচনা। এ জন্য কৌশল চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) তার আওতায় মার্চের শেষ সপ্তাহে পার্লামেন্টারি পার্টিগুলোর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টারি কমিটি ও নির্বাচন কমিশনে যাতে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য বিরোধীদলীয় নেতাদের সঙ্গে যথাযথ ঐক্যমতে পৌঁছাবে সরকার।

তারপরই তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মে মাসের শেষ সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী খাকান আব্বাসী। বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অব্যবহিত আগে অথবা মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন প্রধানমন্ত্রী আব্বাসী। এক্ষেত্রে যাতে কোনো জাতীয়বাদী বা টেকনোক্রেটিক সরকার না আসে তা এড়ানোর জন্য একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে দেখতে চাইছে পিএমএলএন। তাই এমনই একজন প্রার্থী দিতে তারা মসৃণভাবে কাজ করছে।

এমন একজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ দেয়ার পর তিনি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবেন। পিএমএলএন’র সূত্র অনুযায়ী, দলীয় চেয়ারম্যান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এ বিষয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দলীয় কৌশল নির্ধারণে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাতে উঠে আসছে দেশের ভিতরকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এর মধ্যে রয়েছে সিনেট নির্বাচন। আলোচনা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নের বিরুদ্ধে পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক ও অন্যান্য দলগুলোর প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিষয়।

তাই সিনেট নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে ঐক্যমত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শাহিদ আব্বাসীকে দায়িত্ব দিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায় সে জন্য তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সূত্র। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে কে আসবেন এ নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। একটি সূত্র বলেছেন, এখন পর্যন্ত তিন থেকে চারজনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সরকারি নীতি-নির্ধারক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিত্ব। বিরোধী দলগুলো যাকে বেছে নেবে তাকেই এক্ষেত্রে বাছাই করা হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতাদের মধ্যে ঐক্যমত গড়ে তুলতে চায় সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পাশাপাশি সন্ত্রাস, করাচি অপারেশন, বেলুচিস্তান শান্তি কর্মসূচি, ন্যাশনাল একশন প্লান বাস্তবায়ন করবেন। মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়