জান্নাতুল ফেরদৌসী: কুষ্টিয়ায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জাল টাকার দৌরাত্ম্য। দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠাতো বটেই এবার জনতা ব্যাংকের সুকান্ত বিপণী শাখা ব্যাংক থেকে তোলা বান্ডিলেই জাল টাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও পরস্পরের ওপর দায় চাপাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করেন, জাল নোটের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে না পারলে ব্যাংকের ওপর থেকে মানুষ আস্থা হারাবে।
কুষ্টিয়া শহরের জনতা ব্যাংকের সুকান্ত বিপণী শাখা থেকে সম্প্রতি ১ লাখ টাকা তোলেন শামীম হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। যেখানে পাওয়া যায় জাল টাকা। বিষয়টি ক্যাশিয়ারকে জানানো হলেও তিনি এর দায় নিতে অস্বীকার করেন।
কুষ্টিয়া মেসার্স আর রহমান কর্পোরেশনের ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন,
সোনালী ব্যাংক থেকে ঐ টাকা গণনা করা হয়েছে এমন অযুহাত দিয়ে অই টাকা পাঠানো হয় সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায়। সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে জানানো হয়, এ টাকার দায় তাদের নেই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনিও দায় চাপান সোনালী ব্যাংকের ওপর। তবে এই বিষয় নিয়ে ক্যামেরার সামনে আসতে রাজি হয়নি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া জনতা ব্যাংকের সুকান্ত বিপণী শাখার ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, শাখা ব্যাংকগুলোর সমস্ত টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে আসে।
জাল টাকা ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেকই। ব্যাংক থেকে নেয়া বান্ডিলে অহরহ জাল টাকা ধরা পড়লেও নেই কোনো সমাধান।
কুষ্টিয়ার পিপি অ্যাডভোকেট অনূপ কুমার নন্দী বলেন, জাল টাকার সাথে যুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতি চক্রের সাথে এই চক্রের সংযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :