শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:৩৬ রাত
আপডেট : ২০ জানুয়ারী, ২০১৮, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইনশাআল্লাহ বলার ফযিলত

মুহাম্মাদ আবু আখতার: কোন কাজের জন্য কারো সাথে ওয়াদা করলে প্রত্যেক মুমিনের ইনশাআল্লাহ বলা উচিত। কেননা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিত কোনো ওয়াদাই পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনি কোনো কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, সেটি আমি আগামী কাল করব ‘ইনশাআল্লাহ’ (যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন) বলা ব্যতিত। (সুরা কাহাফ: ২৩-২৪)

এ আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট হিসেবে একটি শিক্ষণীয় ঘটনা তাফসীরের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নবুয়্যাতের সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য একবার মক্কার কুরাইশ নেতৃবৃন্দ নযর বিন হারিছ এবং ওকবা বিন আবু মঈতকে মদীনার ইহুদী আলেমদের কাছে পাঠালো। তারা মদীনায় গিয়ে ইহুদী আলেমদের কাছে রাসূলুল্লাহ (সা) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। নযর বিন হারিছ এবং ওকবা তাদের বললো,- ‘আপনারা তাওরাতের ইলমের অধিকারী। আমাদের গোত্রের একজন (মুহাম্মাদ সাঃ) নবুয়্যতের দাবি করছে। আমরা তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে এসেছি। আমাদেরকে তার সম্পর্কে এমন কিছু বিষয় শিখিয়ে দিন, যা দ্বারা আমরা তাঁকে পরীক্ষা করতে পারি। নযর বিন হারিছ এবং ওকবার কথা শুনে ইহুদী আলেমরা বললো,- ‘তোমরা তাঁকে তিনটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। ১) তাকে ঐ সমস্ত যুবকদের সম্পর্কে (আসহাবে কাহাফ) জিজ্ঞেস করো, যারা অতীত কালে দ্বীন নিয়ে পলায়ন করেছিল। তাদের অবস্থা কী হয়েছিল? ২) তোমরা তাকে আল্লাহর সেই মুমিন বান্দা (জুল কারনাইন) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো, যিনি পূর্ব ও পশ্চিমের সব দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। তার খবর আসলে কী ছিলো?

৩) তোমরা তাঁকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। এটি কী? সে যদি তোমাদের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারে, তাহলে সে একজন সত্য নবী। তোমরা তার অনুসরণ করো। আর যদি সে উত্তর দিতে না পারে, তাহলে মনে করবে সে একজন মিথ্যুক। প্রশ্নগুলো নিয়ে তারা মক্কার কুরাইশদের নিকট ফিরে আসল। তারা প্রশ্নগুলো সম্পর্কে কুরাইশ নেতাদের জানালো এবং বললো,- ‘মদীনার ইহুদী আলেমগণ আমাদেরকে বলেছে, আমরা যেন এই প্রশ্নগুলো মুহাম্মাদ (সা) এর সামনে পেশ করি।’

তারা সবাই মিলে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নিকট আগমণ করলো এবং সেই প্রশ্ন তিনটি করলো। তাদের প্রশ্ন তিনটি শুনে রাসূল (সা.) বললেন, ‘আগামীকাল আমি তোমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিব।’ এ ওয়াদা দিতে গিয়ে রাসূল (সা.) ‘ইনশাআল্লাহ্’ শব্দটা বলতে ভুলে গেলেন। কাফেররাও আগামীকাল উত্তর পাওয়ার ওয়াদা নিয়ে চলে গেলো। কিন্তু, ওয়াদা করার সময় ‘ইনশাআল্লাহ’ না বলার কারণে সেদিন থেকে পরের পনেরো দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করার পরও এ ব্যাপারে (প্রশ্ন তিনটির ব্যাপারে) কোন ওহীই আসলো না। এ সময়ের মধ্যে জিবরাঈল (আ.)ও আগমন করেননি। মুশরিকরা মনে করলো রাসূল (সা.) হয়তো এসবের উত্তর জানেন না। এজন্যই বিলম্ব করছে।

রাসূলুল্লাহ (সা) ও খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। কী হলো? এই প্রশ্নগুলো এমন যে, এগুলোর উত্তর আল্লাহ তা’য়ালা ছাড়া আর কেউই জানেন না। তিনি ওহী না পাঠানো পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (সা)ও কোন উত্তর দিতে পারছেন না। অবশেষে ঠিক পনেরো দিন পরেই সূরা আল কাহাফ নাযিল করে আল্লাহ তা’য়ালা উল্লেখিত আয়াতসহ আসহাবে কাহাফ, যুলকারনাঈন, রূহ বিষয়ে বিভিন্ন রহস্যময় ব্যাপারে রাসূল (সা.) কে জানিয়ে দিলেন। আসুন! আমরা কারো সাথে কোন ওয়াদা করার সময় আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মেনে ইনশাআল্লাহ বলার অভ্যাস করি। এর দ্বারা আশা করা যায, আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন এবং আমাদের জন্য ওয়াদা পালন করা সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ৷

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়