হ্যাপী আক্তার: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা। এজন্য মেয়র প্রার্থী মনোনয়নে ইতিবাচক ভাবমূর্তি আছে এমন প্রার্থীদের সবোর্চ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনে জয়লাভের পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
২০১৩ সালের ১৫ জুন রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও বরিশাল এবং ৬ই জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবকটিতেই হেরেছিল আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন বিধিমালা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে গাজীপুর, সিলেট, খুলনা এবং নভেম্বরের মধ্যে রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্বাচনী ছক কষছে ক্ষমতাসীন দলটি।
দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫টি নির্বাচনই আওয়ামী লীগের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করা হবে। তবে সব নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে এমনটি তিনি মনে করেন না।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খান বলেন, প্রতিটি নির্বাচনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হবে। তার সাথে আওয়ামী লীগ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে। নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা এবং সম্পৃক্ততা, দলের সাথে তার সম্পর্ক এবং যে উন্নয়ন কাজ চলছে সক্ষমতাকে এগিয়ে নিতে পারবে এমন প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
এরই মধ্যে রাজশাহী, সিলেট ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনে গত নির্বাচনের প্রার্থীদেরকেই মাঠে কাজ শুরুর সংকেত দেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে নেতারা জানিয়েছেন, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, সিলেটে বদরউদ্দীন আহমেদ কামরান এবং খুলনাতে তালুকদার আব্দুল খালেকের মতো শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় সেখানে বিকল্প কাউকে ভাবা হচ্ছে না।
গাজীপুরে গতবারের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য মাঠে কাজ শুরুর কথা বলা হয়েছে। তবে বরিশালে গতবারের প্রার্থী শওকত হোসেন হিরন প্রয়াত হওয়ায় এখনো প্রার্থীর ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি দলটি।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ