সজিব খান: নিয়োগবিধি না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবসরে যাওয়ার পর খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হতো। তবে দীর্ঘ ২২ বছর পর এই বঞ্চনার অবসান ঘটতে চলেছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরি করেও সিলেকশন গ্রেড/ টাইমস্কেল থেকেও বঞ্চিত হতে হতো তাদের। এছাড়াও রয়েছে পদোন্নতি বঞ্চনা। তাই এসব সুযোগ সুবিধা রেখে নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির ২০১৮ সালের প্রথম সভায় যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে বিধিমালাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস (প্রশাসন)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার সমস্যা দূর করতে ১৯৯১ সালের বিধিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
প্রস্তাবিত বিধিমালায় মোট পদের শতকরা ৫০ভাগ পদোন্নতি ও শতকরা ৫০ভাগ সরাসরি নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। মোট পদের শতকরা ৫০ শতাংশ পদোন্নতি ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ পদায়নের বিধান রাখা হয়েছে বিধিমালায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নবম গ্রেডের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ১০ম গেডের সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ১৪তম গ্রেডের হিসাব রক্ষক, ১৬তম গ্রেডের অফিস সহকারী/ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীসহ মোট ছয়টি পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। নিকার এর ৯৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেষ হওয়া প্রকল্পের জনবল খসড়া নিয়োগবিধি দিয়ে রাজস্ব খাতে পদায়ন, নিয়মিতকরণ ও চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়।