অনলাইন ডেস্ক : নাম বে-গুণ অর্থাৎ গুণহীন হলেও বেগুন আসলে খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। আর বেগুন যদি পোড়া হয়, তাহলে তো আর কথাই নেই। গুণে ভরা এই বেগুনপোড়া। এতে কোলেস্টেরল বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকেনা। এছাড়াও ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে ০.৮ গ্রাম খনিজ, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ৪২ কিলোক্যালরি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ২.২ গ্রাম শর্করা, ২৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন B1, ০.০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন B2, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন C। দেহে ফ্রি রেডিকেল নামে এক ধরণের ক্ষতিকর উপাদান তৈরী হয়। এই উপাদানের পরিমাণ কমায় বেগুন। ফ্রি রেডিকেল আমাদের অনেক ক্ষতি করে। দেহে ক্যান্সারের জীবাণুকে আক্রমণ করতে সাহায্য করে। তাই ফ্রি রেডিকেলের পরিমাণ কমানো যথেষ্ট জরুরী। বেগুনে রয়েছে নাসুনিন (Nasunin) নামের এক উপাদান, যা মস্তিষ্কের শিরা উপশিরার মধ্যে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে মস্তিষ্কের প্রতিটি প্রান্তে রক্ত সুষ্ঠুভাবে সরবরাহ হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সঠিকভাবে পৌঁছালে ব্রেইন স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এই অসুখগুলো সহজে হবে না।
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রতিদিন পাঠকদের জন্য রইলো বেগুনপোড়ার গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত। বিশেষজ্ঞদের দাবি-
১। কচি বেগুন পুড়িয়ে, খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমতে পারে। লিভারও ভাল রাখে।
২। একটু বেগুন পুড়িয়ে মধু মিশিয়ে সন্ধ্যায় খেলে রাতে ভাল ঘুম হতে পারে।
৩। বেগুনপোড়ায় প্রতিদিন যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে।
৪। উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় রক্তে সুগার ও গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে বেগুনপোড়া।
৫। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বেগুনপোড়া। তাছাড়া, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বেগুনপোড়া।
৫। বেগুনের পটাশিয়াম, ভিটামিন E ও K শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
৬। বেগুনে রয়েছে রিবোফ্ল্যাভিন। তাই জ্বরের পর মুখ ও ঠোঁটের কোণে এবং জিভে ঘা হতে দেয় না বেগুনপোড়া। বিডি-প্রতিদিন