আসাদুজ্জামান সম্রাট : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতি দারিদ্রের হার ২৩ শতাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
স্পিকার বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের সাবেক স্পীকার ও সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড(এসপিআইপিএল) এর ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর মি. আব্দুল্লাহ বিন তারমুগি নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা সংসদীয় কার্যক্রম, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাত অনেক শোচনীয় অবস্থায় ছিল যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বলিষ্ঠ ও কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে ১৫০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট মনযোগী এবং এক্ষেত্রে সামিট গ্রুপের অবদান অনস্বীকার্য।
মি. আব্দুল্লাহ বিন তারমুগি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যণীয়। বিদ্যুৎখাতে উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক মাত্রায় স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, এলএনজি টার্মিনাল, ফাইবার অপটিক ও আর্ন্তজাতিক মানসম্মত সমুদ্র বন্দর স্থাপন এবং উন্নয়নে সামিট গ্রুপ কাজ করে যাচ্ছে।। বিদ্যুৎ ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হলে বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন এসপিআইপিএল এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর লিম হুই হুয়া, ট্যাং কিন ফ্যাই, ক্যাসপার ব্লাসি জোহানসেন, মোহাম্মদ লতিফ খান এবং হেড অব এডমিন কর্নেল (অবঃ) জাওয়াদ-উল ইসলাম।