শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাকরাইন উৎসব আজ

[caption id="attachment_430228" align="alignleft" width="500"] আগামীকাল থেকে শুরু হেচ্ছে সাকরাইন[/caption]

ডেস্ক রিপোর্ট : রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকাইয়াদের আদি ও ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। ভোরবেলার কুয়াশার আবছায়াতেই ছাদে ছাদে শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা।

পঞ্জিকা মতে, বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন উদযাপন করা হয় পৌষ সংক্রান্তি। বর্তমানে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ শুধু ‘সংক্রান্তি’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে; আর পুরান ঢাকার মানুষরা একে বলে ‘সাকরাইন’।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় পৌষের শেষে জামাইরা শ্বশুরবাড়ি এলে তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হতো ঘুড়ি ও নাটাই। সব বাড়ির জামাইরা ঘুড়ি ওড়ালে ঘটা করে সেসব দেখতেন গ্রামবাসী। এমনটা এখন আর হয় না। শহরেও শীত তার তীব্রতা খুইয়েছে। কিন্তু উৎসবটা রেখে গেছে। তাই ঘুড়ি ওড়ানো পৌষ-বিদায়ী উৎসবের অংশ হয়ে আছে।

আরটিভি অনলাইন’র খবরে জানা গেছে, উৎসবের অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদই কাল থাকবে স্থানীয় অধিবাসী আর দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত। ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার অধিবাসীরা বানাবেন মুড়ির মোয়া, বাখরখানি আর পিঠা। পুরনো ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদরঘাট, কোর্টকাচারি এলাকায় রমরমা অবস্থা থাকবে।

ছোট বড় সকলের অংশগ্রহণে মুখরিত থাকবে পুরান ঢাকার প্রতিটি ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়বে উৎসবের জৌলুস। আর শীতের বিকেলে ঘুড়ির কাটাকাটি খেলায় উত্তাপ ছড়াবে সাকরাইন উৎসব।

ছাদে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। অধিকাংশ সময়ে ভোঁ কাট্টা’র (ঘুড়ি কাটাকাটি) প্রতিযোগিতা চলে। একজন অপরজনের ঘুড়ির সুতা কাটার কসরৎ করে। রাত নামলে পুরান ঢাকার আতশবাজির আলোয় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাসার ছাদে হবে ডিজে পার্টি। আগুন মুখে নিয়ে খেলা দেখানো কসরৎবিদগণ ছাদে দাঁড়িয়ে দর্শকদের তাদের কারুকাজ দেখান।

দেশ-বিদেশের প্রচুর দর্শনার্থী আর আলোকচিত্রী ভিড় করেন প্রত্যেক বছরই। সময় পেলে দিনের যেকোনো সময়ই গিয়ে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন পুরান ঢাকায়। যেকোনো বহুতল ভবনে লিফটে অথবা সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলেই গায়ে লাগবে উৎসবের আমেজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়