শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাকরাইন উৎসব আজ

[caption id="attachment_430228" align="alignleft" width="500"] আগামীকাল থেকে শুরু হেচ্ছে সাকরাইন[/caption]

ডেস্ক রিপোর্ট : রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকাইয়াদের আদি ও ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। ভোরবেলার কুয়াশার আবছায়াতেই ছাদে ছাদে শুরু হবে ঘুড়ি ওড়ানোর উন্মাদনা।

পঞ্জিকা মতে, বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন উদযাপন করা হয় পৌষ সংক্রান্তি। বর্তমানে ‘পৌষ সংক্রান্তি’ শুধু ‘সংক্রান্তি’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে; আর পুরান ঢাকার মানুষরা একে বলে ‘সাকরাইন’।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় পৌষের শেষে জামাইরা শ্বশুরবাড়ি এলে তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হতো ঘুড়ি ও নাটাই। সব বাড়ির জামাইরা ঘুড়ি ওড়ালে ঘটা করে সেসব দেখতেন গ্রামবাসী। এমনটা এখন আর হয় না। শহরেও শীত তার তীব্রতা খুইয়েছে। কিন্তু উৎসবটা রেখে গেছে। তাই ঘুড়ি ওড়ানো পৌষ-বিদায়ী উৎসবের অংশ হয়ে আছে।

আরটিভি অনলাইন’র খবরে জানা গেছে, উৎসবের অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদই কাল থাকবে স্থানীয় অধিবাসী আর দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত। ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে পুরান ঢাকার অধিবাসীরা বানাবেন মুড়ির মোয়া, বাখরখানি আর পিঠা। পুরনো ঢাকার দয়াগঞ্জ, মুরগিটোলা, কাগজিটোলা, গেন্ডারিয়া, বাংলাবাজার, ধূপখোলা মাঠ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদরঘাট, কোর্টকাচারি এলাকায় রমরমা অবস্থা থাকবে।

ছোট বড় সকলের অংশগ্রহণে মুখরিত থাকবে পুরান ঢাকার প্রতিটি ছাদ। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বাড়বে উৎসবের জৌলুস। আর শীতের বিকেলে ঘুড়ির কাটাকাটি খেলায় উত্তাপ ছড়াবে সাকরাইন উৎসব।

ছাদে কিংবা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। অধিকাংশ সময়ে ভোঁ কাট্টা’র (ঘুড়ি কাটাকাটি) প্রতিযোগিতা চলে। একজন অপরজনের ঘুড়ির সুতা কাটার কসরৎ করে। রাত নামলে পুরান ঢাকার আতশবাজির আলোয় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাসার ছাদে হবে ডিজে পার্টি। আগুন মুখে নিয়ে খেলা দেখানো কসরৎবিদগণ ছাদে দাঁড়িয়ে দর্শকদের তাদের কারুকাজ দেখান।

দেশ-বিদেশের প্রচুর দর্শনার্থী আর আলোকচিত্রী ভিড় করেন প্রত্যেক বছরই। সময় পেলে দিনের যেকোনো সময়ই গিয়ে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন পুরান ঢাকায়। যেকোনো বহুতল ভবনে লিফটে অথবা সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেলেই গায়ে লাগবে উৎসবের আমেজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়