শিরোনাম
◈ পিআর আদায়ে আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোতে মতভেদ ◈ বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে ভারতীয় ২০০ কোচ ◈ ফরিদপুরে মহাসড়ক-রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা ◈ জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট পদে লড়বে বাংলাদেশ, প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিন ◈ ডাকসুতে শিবিরের জয়—প্রচারণা, কৌশল নাকি জনপ্রিয়তা? ◈ জুলাই সনদ না মানলে প্রার্থিতা বাতিল- প্রস্তাব জামায়াতের ◈ ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রা: ইতালির লাম্পেদুসায় পৌঁছেছে বাংলাদেশিসহ ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ◈ কাতারে ইসরায়েলি হামলা: পরাশক্তির মিত্র হয়েও বন্ধুহীন দোহা? ◈ মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকেই অস্বীকার করা : জামায়াত নেতা আযাদ ◈ মা-বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ফরিদা পারভীন

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:০৯ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আব্বুর  নাম কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না এটা আবার বলাও যাচ্ছে না

খন্দকার আলমগীর হোসাইন : শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকায় কোথাও নেই। আব্বুর অবদানের জন্য একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছিল। যে অবদানের জন্য পুরস্কার পেলেন, সে তালিকায় নাম-ই নেই। কবে, কে, কারা কী করছে আমরা তালিকায় নাম খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কাউকে বলতেও পারছি না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয় না। যদি বীরাঙ্গনাদের আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানটা দিয়ে থাকি, তাহলে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সেই সম্মানটা দেওয়াতে কোনো আপত্তি হওয়ার কথা না। আমাদের অর্থনীতিকে আক্ষেপের সুরে এইসব কথা বলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বলাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। অনেকে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে খারাপ কথাও বলেন। ঢাকায় বসে ছিল, নিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা কী আসলেই শুধু বসেছিল? প্রত্যেকই তো প্রত্যেকের কাজে ছিল, তাই নয় কী? তাদের অবস্থান থেকে তারা ভূমিকা রেখেছেন। এখন কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে গেলে দেওয়া যায়। এটাতে কী কোনো আপত্তি থাকতে পারে?  বুদ্ধিজীবীদের অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দেওয়া উচিত। এটাতে কারও আপত্তি থাকার কথা না। বীরাঙ্গনাদের যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানটা দেয়া হয়, তো শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কেন নয়।

তিনি বলেন, অন্য সব বুদ্ধিজীবীই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন নামে, তালিকায়, গেজেটে। কিন্তু আলতাফ মাহমুদের কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। কোথাও নামও পাচ্ছি না, এটা আসলে কাউকে বলতেও পারছি না। আমরা কিন্তু কোনো ভাতা পাই না, শহীদ পরিবার হিসেবে। কোনো ভাতা যে পাই না এটাও অনেকে জানেন না। আমার মা যখন থেকে চাকরি নিয়েছেন তারপর থেকে কোনো ভাতা-ই পাই না। পাঁচ শ টাকা করে পেতাম এক সময়। পরে ওইটাও বন্ধ হয়ে গেছে, চাকরি পাওয়ার পর। এগুলা এখন খুঁজতে গেলে মন্ত্রণালয় ধরণা দিতে হবে। মন্ত্রিদের সামনে বসে থাকতে হবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, এটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। এখন আপনার সাথে শেয়ার করলাম, আপনারা একটু খোঁজ নেন। ভাতার জন্য বলছি না, এটার সাথে সম্মান জড়িত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়