তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বলাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। অনেকে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে খারাপ কথাও বলেন। ঢাকায় বসে ছিল, নিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা কী আসলেই শুধু বসেছিল? প্রত্যেকই তো প্রত্যেকের কাজে ছিল, তাই নয় কী? তাদের অবস্থান থেকে তারা ভূমিকা রেখেছেন। এখন কথা হচ্ছে, সম্মান দিতে গেলে দেওয়া যায়। এটাতে কী কোনো আপত্তি থাকতে পারে? বুদ্ধিজীবীদের অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দেওয়া উচিত। এটাতে কারও আপত্তি থাকার কথা না। বীরাঙ্গনাদের যদি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানটা দেয়া হয়, তো শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কেন নয়।
তিনি বলেন, অন্য সব বুদ্ধিজীবীই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন নামে, তালিকায়, গেজেটে। কিন্তু আলতাফ মাহমুদের কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। কোথাও নামও পাচ্ছি না, এটা আসলে কাউকে বলতেও পারছি না। আমরা কিন্তু কোনো ভাতা পাই না, শহীদ পরিবার হিসেবে। কোনো ভাতা যে পাই না এটাও অনেকে জানেন না। আমার মা যখন থেকে চাকরি নিয়েছেন তারপর থেকে কোনো ভাতা-ই পাই না। পাঁচ শ টাকা করে পেতাম এক সময়। পরে ওইটাও বন্ধ হয়ে গেছে, চাকরি পাওয়ার পর। এগুলা এখন খুঁজতে গেলে মন্ত্রণালয় ধরণা দিতে হবে। মন্ত্রিদের সামনে বসে থাকতে হবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, এটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। এখন আপনার সাথে শেয়ার করলাম, আপনারা একটু খোঁজ নেন। ভাতার জন্য বলছি না, এটার সাথে সম্মান জড়িত।