নুরুল আমিন হাসান : রাজধানীর শ্যামলীতে মোটর সাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগার অভিযোগে প্রাইভেটকার ভাংচুর করে জনতার রোষানলে পরেছে এক পুলিশ কনস্টেবল। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ওই পুলিশ কনস্টবল ও ভুক্তভোগীদের থানায় নিয়ে যায়।
আদাবর থানাধীন শ্যামলী মোড়ে শুক্রবার দুপুরের এ ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই পুলিশ কনস্টবলের নাম আরিফ। বর্তমানে তিনি পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যায়। তাছাড়াও তার বাবা পুলিশের এসপিবিএন শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শ্যামলীতে পুলিশ কনস্টেবল আরিফের মোটর সাইকেলের সাথে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের কার্ডিওলজি রেজিস্টার ড. সাবরিনার ছেলে রাগীব মোহাম্মদের প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে। যদিও এতে মোটর সাইকেলের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কনস্টেবল আরিফ উত্তেজিত হয়ে তার হেলমেট দিয়ে রাগীবের গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভাঙচুর করেন। এরপর রাগীবের দুই বন্ধু নাহিন আর মাহাদিকেও মারধর করেন আরিফ।
তারা আরো জানান, এ সময় আশপাশের লোকজন কনস্টেবল আরিফকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে পুলিশের সমঝোতার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তারা।
রাগীবের আরেক বন্ধু অরিত্র জানান, আমরা বন্ধুরা গাড়ীতে করে বনানীর দিকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে হঠাৎ আরিফের মোটরসাইকেল সামনে চলে আসলে তাতে হালকা ধাক্কা লাগে। তবে তার মোটরসাইকেলের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরিফ হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে হেলমেট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। শুধু গাড়ী ভেঙ্গেই সে শান্ত হয় নি, এক পর্যায়ে তার হাতের লাঠি দিয়ে আমাদের মারতে থাকেন। আমরা অনেক অনুরোধ করার পরও তিনি কোনও কথা না শুনে বেদম পেটায়।
এমন ঘটনার বিষয়ে আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ‘দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আমরা তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’