শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:০০ সকাল
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অনার্সে উঠার আগে মোবাইল নয়

নোয়াখালী প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়া দেশের সব মাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা আপনাদের সন্তানদের অন্তত অনার্স ক্লাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন দিবেন না। এতে শিক্ষার্থীরা নষ্ট হয়ে যায়। আর আপনার যা পারেন, আমরা কিন্তু তা পারি না।’

শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি নেপোলিয়ানের একটি উক্তি উল্লেখ করে বলেন, ‘তোমরা আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব। দেখেন আপনারা পারেন, আমরা কিন্তু পারিনা। এখন আমরা সবাই রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের চেয়ে মায়েরাই তার সন্তানের বেশি খবর রাখেন। আবার আমাদের মায়েদের কারণেই সন্তানরা নষ্ট হয়ে যায়। সেই দিকেই খেয়াল রেখে বলতে চাই, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সন্তান অন্তত অনার্স ক্লাসে ভর্তি না হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে মোবাইল ফোন কিনে দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক সম্পর্কে যখন আমাদের কাছে প্রশ্ন আসে তখন আমাদের লজ্জা লাগে। যখন শুনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য শিক্ষকরাই দায়ী, তখন নিজেকে খুব হেও প্রতিপন্ন মনে করি। লজ্জা লাগে, দুঃখ লাগে। এ জাতি যাবে কোথায়? যে দেশের মানুষ একটি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে সেই দেশের শিক্ষকরা একটি দুষ্কর্ম করবে তা ভাবতেও পারছি না। আমরা এও দেখি যখন শিক্ষার্থীদের সবাই ‘এ’ প্লাস পায় কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে মাত্র একজন পাস করে।

এসময় তিনি হাতিয়া উপজেলাকে জেলা ঘোষণা করার জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমরা চেষ্টা করব।

হাতিয়ার বিদ্যুৎ সমস্যার বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে বলেন, ‘আপনারা যদি প্রশাসনিকভাবে কোথাও কোনো চিঠি পাঠিয়ে থাকেন তার একটা কপি আমাকে দেন আমি বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই সহযোগিতা করব। ’

স্কুল প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. ওয়ালী উল্যাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মো. রেজাউল করিম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশিকুল ইসলাম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে এলাহী মিলাদ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়