জাফর আহমদ: বাংলাদেশে ভারতের পূর্বাঞ্চলের শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলন, বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা ও সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর শিল্প উদ্যোক্তারা এসব সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
শুক্রবার বিকেলে ভারতের কলকাতায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ার উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘সম্ভাবনার প্রতি হ্যাঁ বলুন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে এ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, দ্যা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএনসিসিআই) প্রেসিডেন্ট বাণী রায় চৌধুরী। পশ্চিম বাংলার দ্যা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই) এ মেলার আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক কাঁচামাল রয়েছে। এসব কাঁচামাল এনে বাংলাদেশে শিল্পপণ্য উৎপাদন এবং এসব পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসহ ভারতের মূল ভূ-খন্ডে পুনঃরপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে উভয় দেশের উদ্যোক্তারা ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে।
ভারতের ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা দেশের গন্ডি পেরিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোসহ পুরো ভারতবর্ষ এবং বিশ্বের অন্য দেশেও বিনিয়োগ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের খ্যাতনামা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান প্রাণ আরএফএল ত্রিপুরাতে বিনিয়োগ করেছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বর্তমানে ভিন্নতর উচ্চতায় পৌঁছেছে। দু’দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার একটি গতিশীল পর্যায়ে উপনিত হয়েছে এবং উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এ সম্পর্ক গতিশীল রাখতে দু’দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।