নাফরুল হাসান : গত তিন বছর ধরে লাভজনক হলেও দ্রুত কমছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মুনাফা। বাংলাদেশ বিমানের দাবি, আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষধাজ্ঞা এবং জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত মূল্যসহ ভাড়া নিয়ে প্রতিযোগিতার কারণে মুনাফা কমেছে। লিজ নয় বরং লোকসান এড়াতে উড়োজাহাজ কিনতে এবং কার্গো ব্যবসা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
২০০৭ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী হওয়ার বছরেই লাভের মুখ দেখে বাংলাদেশ বিমান। এরপরে ২০০৯ থেকে টানা পাঁচ বছর লোকসান হয়। বিমান বলছে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের উর্ধ্বমূখি দাম এবং লিজে নেয়া উড়োজাহাজগুলোর অতিরিক্ত জ্বালানি খরচই লোকসানের কারণ।
তবে, ২০১১ থেকে একে একে নতুন ছয়টি উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩২৪ কোটি টাকার বড় অংকের মুনাফা করে সংস্থাটি। এরপর লাভে হলেও কমতে শুরু করে মুনাফা । সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মাত্র ৪৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে । তবে এই সময়ে যাত্রী পরিবহন বাড়লেও কমেছে কার্গো পরিবহন।
বিশেষজ্ঞের মতে, উড়োজাহাজ লিজ নেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং পুরনো এয়ারক্রাফটের অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণ খরচের ফলে প্রত্যাশিত লাভ পাচ্ছেনা বিমান।এজন্য কার্গো ব্যবসা বাড়ানোর পরামর্শ বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক নাফিস উদ্দিন ইমতিয়াজ।
আগামী বছরে অত্যাধুনিক চারটি নুতন উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত হলে লাভের অংক বাড়বে বলে প্রত্যাশা বিমানের।
বর্তমানে বিমানের বহরে উড়োজাহাজ রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে লিজে নেয়া উড়োজাহাজের সংখ্যাই সাতটি।
সূত্র : সময় টিভি