শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৮ সকাল
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জার্মানিতে সরকার গঠণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল

ডেস্ক রিপোর্ট : জার্মানিতে স্থিতিশীল সরকার গড়ার আশা এবার বাস্তব হয়ে উঠেছে। কারণ  এ নিয়ে এসপিডি ও ইউনিয়ন শিবির বুধবার প্রাথমিক আলোচনা শুরু করবে। তবে এতে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর থেকে সেখানে  সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। এমনকি তিন শিবিরের ‘জামাইকা’ জোট গড়ার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়। পরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির আরেক শিবির এসপিডি এর সঙ্গে পুনরায় মহাজোট সরকার গঠণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রথমে এসপিডি এই সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করার পর জার্মান প্রেসিডেন্টের অনুরোধে ধীরে ধীরে নমনীয়তা দেখাতে শুরু করে। গত নির্বাচনে দলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফলের পর শীর্ষ নেতা মার্টিন শুলৎস একা এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে চাননি। মহাজোট করার লক্ষ্যে তিনি দলের সদস্যদের থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রায় নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার দলীয় সম্মেলনে তিনি মহাজোটের দিকে যাওয়ার সমর্থন পান।

এর আগে মার্চ মাসে ১০০ শতাংশ ভোট পেয়ে দলের সভাপতি ও চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হওয়ার পর মার্টিন শুলৎস নির্বাচনে এসপিডি দলকে উদ্ধার করতে পারেননি।  উল্টো বিপর্যয় নেমে এসেছে। ডেয়ার স্পিগেল পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কঠিন অবস্থা সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন।

বৃহস্পতিবার শুলৎস আবার সভাপতি নির্বাচিত হন, তবে তিনি এবার ৮১ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন। শুলৎস নিজের অবস্থান আপাতত কিছুটা শক্ত করার পর তিনি দলের সদস্যদের কাছে ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনার জন্য সম্মতি চেয়েছিলেন।  শুলৎস জানান,  আলোচনা মানেই কিন্তু মহাজোট নয়। এই উদ্যোগের কোনো স্বয়ংক্রিয় পরিণতি নেই। অর্থাৎ মহাজোট ছাড়া বাইরে থেকে সংখ্যালঘু সরকারের প্রতি সমর্থন নিয়েও আলোচনা হতে পারে অথবা ঐকমত্য না হলে নতুন নির্বাচনও সম্ভব। শেষ পর্যন্ত মহাজোটের বোঝাপড়া হলেও আবার দলের সদস্যদের রায় নেয়া হবে। মোটকথা এসপিডি দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি অভিন্ন কর্মসূচিতে স্থান পেলে তবেই সরকারে অংশ নেয়ার কথা ভাববে এসপিডি। মার্টিন শুলৎস ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। এসপিডি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানালেও দলের মধ্যে তরুণরা মহাজোটের ঘোরতর বিরোধী। তাদের মতে, মহাজোটে আবার যোগ দিলে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে এসপিডি দলের।

আগামী সপ্তাহের বুধবার এসিপিডি ও মার্কেলের ইউনিয়ন শিবির প্রথম আলোচনায় বসছে বলে জানা গেছে। সিডিইউ নেতা আঙ্গেলা মার্কেল, এসিপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস ও বাভেরিয়ার সিএসইউ নেতা হর্স্ট সেহোফার ছাড়াও তিন পক্ষের সংসদীয় দলের শীর্ষ নেতারাও এতে অংশ নেবেন। ভবিষ্যৎ আলোচনার সময়সূচি তারা স্থির করবেন। তারপর দুই শিবির নিজেদের অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর স্থির করবে জানুয়ারি মাসে কীভাবে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করা যায়। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা তখনই শুরু হবে যখন মহাজোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে দুই পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছাবে।  তবে জনমত সমীক্ষা বলছে, মহাজোট সরকার গড়ার পক্ষে দিনদিন জনসমর্থন বেড়েই চলেছে।

সূত্র : দৈনিক সংবাদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়