শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ০৮:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলার রহস্য

সাইদুর রহমান: কোন ভালো কাজের শুরুতে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। এটা সুন্নত। কেননা যাবতীয় ভালো কাজের মধ্যে আল্লাহর তা‘আলার অশেষ নেয়ামত নিহিত থাকে। এজন্যই মূলত শুকরিয়া স্বরুপ আল্লাহর প্রশংসা করতের হয়। হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়।

হাদীসে এসেছে, নবী (সা.) হাঁচির প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা হাঁচিকে পছন্দ করেন এবং হাই তোলাকে অপছন্দ করেন। কেউ হাঁচি দিলে আলহামদুলিল্লাহ বলবে। অপর এক হাদীসে এসেছে, হাঁচি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর হাই শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।

এটা হাদিসের নির্দেশনা। হাঁচি এটা তো একটি প্রাকৃতিক সিস্টেম। এতে কি এমন কল্যাণ রয়েছে যার জন্য আল্লাহর প্রশংসা করার কথা হাদীসে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাদীসে শুধু একটি তাত্ত্বিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। হাঁচি এটা আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আর হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। এজন্য এটাকে যথাসম্ভব দমন করা উচিত। কেননা হাই তুললে শয়তান তখন হাসতে থাকে। অর্থ্যাৎ সে সন্তুষ্ট হয়। তথাপি তা অলসতা ও কর্মবিমুখতার ইঙ্গিতবাহী।

আধুনিক যুগের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা হাঁচি নিয়ে গবেষণা করেছেন। কেন হাঁচিতে আল্লাহর প্রশংসা করতে হয়। কি এমন কুদরতি নেয়ামত নিহিত রয়েছে। গবেষণার পর পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, মস্তিক্য ধমনীতে অনেক সময় বাতাস আটকে যায়। ফলে অপার শক্তিময় খোদা এ বাতাস নিঃসরণের জন্য একটা শক্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা রেখেছেন। আর হাঁচির শক্তিতে ঐ আবদ্ধ বাতাস নাসিকা পথে বেরিয়ে আসে। অন্যথা এ বাতাস যদি মস্তিকে আবদ্ধ থাকে তাহলে অর্ধাঙ্গ ও প্যারালাইসিসের প্রবল আশংকা দেখা দেয়।
তাছাড়া সারা দিন মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। অনেকেরই ধুলাবালিতেও কার্জকর্ম করতে হয়। ফলে অনায়াসে ধুলাবালি নাকের ভিতর চলে যায়। আল্লাহর বড় নেয়ামত নাকের লোম। এসব ধূলিকণার মাধ্যমে আগত জীবাণুকে বাধা সৃষ্টি করতে নাসিকা লোমগুলো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাঁচি দেয়ার ফলে এসব ধুলাবালি এবং জীবাণু বের হয়ে আসে। কেননা হাঁচির বেগ এতই প্রচণ্ড বেগে ধাবিত হয় যে, কোন জীবাণুই আটকে থাকতে পারে না।

এসব ধুলাবালি ও জীবাণগুলি যদি ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পেত তাহলে ছড়িয়ে দিত অসংখ্য রোগব্যাধির প্রবল সম্ভাবনাকে। অনেক রোগব্যাধি এমন রয়েছে যা শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়ানক আকার ধারণ করে।

আল্লাহ তা’আলা হাঁচি ব্যবস্থার মাধ্যমে এ সকল রোগব্যাধি থেকে প্রতিরোধের জন্য মহৌষধ বানিয়ে দিয়েছেন। তাইতো হুযুর (সা.) হাঁচিকে পছন্দ করতেন। সুন্নাহ এন্ড মর্ডান সাইন্স অবলম্বনে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়