শিরোনাম
◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জেনে নিন জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া কীভাবে ছড়ায়

ডা. জাকির হোসেন : জলাতঙ্ক একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সংক্রমিত রোগ। সমগ্র পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৫৫,০০০ মানুষে মারা যান জলাতঙ্ক রোগে। প্রশ্ন হলো এত রোগী মারা যাওয়ার কারণ কী? জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে বহু আগেই। তারপরও সারা বিশ্বে এই রোগে এত রোগী মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মানুষের অজ্ঞতা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঠিক সমযয়ে প্রতিষেধক না পাওয়া। সর্বাগ্রে অজ্ঞতাই এই রোগে এত মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।শুরুতে জেনে নেওয়া যাক এই রোগে মানুষ সংক্রমিত হয় কিভাবে? জলাতঙ্ক বা হাইড্রোফোবিয়া (ঐুফৎড়ঢ়যড়নরধ) একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ। র‌্যাবডো ভাইরাস গোত্রের রেবিস ভাইরাসের সংক্রমণই এ রোগের কারণ। এই ভাইরাস মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে। এর ফলে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শেয়াল, নেকড়ে, বেজি ইত্যাদির কামড়ের মাধ্যমে রেবিস সংক্রমিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ রেবিসই কুকুরের কামড়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। শুধু মানুষের মধ্যে রেবিস হয়, এই ধারণা একেবারেই ভুল। আক্রান্ত কুকুর যদি পোষা গরু, ছাগল কিংবা ভেড়াকে কামড়ায় তবে সেসকল গৃহপালিত পশুর মধ্যেও রেবিস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর সাধারণত ১০-১৪ দিনের মধ্যেই রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। মানুষ কিংবা আক্রান্ত পশুর মস্তিষ্কে রেবিস ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ে তখনই রেবিসের লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে। মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রথম দু-তিন দিনের মধ্যে গা ম্যাজ ম্যাজ করা শুর হয়, মাথা ব্যথা হয়, শরীরে ক্লান্তিভাবও অবসাদ দেখা দেয়, অনেক রোগীর মধ্যে বমিভাব থাকে, ক্ষুধামন্দা, জ্বর ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। কামড়ানোর স্থানে চুলকায়, ব্যথা করে, ঝিন ঝিন করে। দিন বাড়ার সাথে সাথে রোগী খারাপ হতে থাকে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রোগী শব্দ, ঠা-া বাতাসও সহ্য করতে পারে না। রোগী কোনো প্রকার তরল পদার্থ গিলতে পারে না। তরল পদার্থ সামনে নিলে আতকে ওঠা, রোগীর মানসিক অস্থিরতা এবং কখনো কখনো ঝিমিয়ে পড়ার ভাব দেখা যায়। সাধারণত তীব্র রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে খিঁচুনি শুরু হয় এবং পক্ষাঘাতে রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জলাতঙ্কের লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে গেলে সে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু এই রোগ প্রতিরোধের টিকা বহু আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশে এখন জেলা পর্যায়ে এন্টি রেবিস ভেকসিন (অহঃর-ৎধনরবং াধপপরহব) আক্রান্ত রোগীকে সরবরাহ করা হয়। বাংলাদেশে এই সময় কুকুরের প্রার্দুভাব বেশি দেখা যায়। তাই রাস্তাঘাটে অনেকটা নিজের অজান্তেই এই সকল কুকুরের আক্রমনের শিকার হয় পথচারী থেকে শুরু করে গৃহপালিত অনেক পশুও। আগে সরকারিভাবে কুকুর নিধন করা হলেও এখন তাদেরকে বন্ধান্ত করে দেওয়ার কার্যক্রম চালু হয়েছে। এই কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে কুকুরে কামড়ানোর মাধ্যমে জলাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
পরিচিতি : চিকিৎসক ও কলামিস্ট
সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়