শিরোনাম
◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ আইসিসির শাস্তির ভ‌য়ে এশিয়া কাপ বয়কট কর‌ছে না পাকিস্তান ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:০৭ রাত
আপডেট : ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদ কখনই তাদের জন্য উৎসব হয়ে ওঠেনা

পাপ্পী আয়ান: [২] ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু পথ শিশুদের এই ঈদ অন্য সাধারণ দিনের মতই একটি দিন। ঈদের উৎসবে শিশুরা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেও। উৎসবের কোনো ছোঁয়া পায় না পথ শিশুরা। 

[৩] পথ শিশুদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, থাকার কোন জায়গাও নেই, ঈদ আসে, ঈদ যায়, কিন্তু সেই ঈদ কখনই তাদের জন্য উৎসব হয়ে ওঠেনা। কারণ নেই তাদের স্বজন, নেই কোনো ভালো খাবারের ব্যবস্থা। নতুন টাকার সালামী বা কে দিবে। তাদের কাছে ঈদের দিন অন্য ১০দিনের মতোই সমান।

[৪] ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে সকাল থেকেই বসে আছে দুই ভাই। পাশেই মা। ঈদে নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। দিন শেষে পেট ভরে একবেলা খেতে পারলে তাদের শান্তি। মা পারভিন আক্তার বলেন, মহল্লায় মানুষ নেই, মানুষ থাকলে হাত পাতলে পাওয়া যায়। ৫-১০ টাকা ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। এ সময়ে অনেকেই অনেক কিছুই দেয় এবার তেমন কিছু পাচ্ছি না। আমাদের একবেলা পেট ভরে খেতে পারলেই শান্তি।

[৫] চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনের সড়কে দেখা একদল শিশু খেলাধুলা করছে। এদিকসেদিক ছুটাছুটি করছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেকই সকালে এসে রাত পর্যন্ত এখানে অবস্থান করে। দিনশেষে মানুষের কাছে চেয়ে যা পায় তা খেয়ে থাকে। রাত হলে রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে চলে যায়। আবার কেউ কেউ এখানে ঘুমায়। সকালে হলে আবার খাবার জোগানোর জন্য ছুটাছুটি করে। কেউ কেউ মালা বিক্রি করে কিংবা হাত পেতে ১০টাকা পেলেই তাদের শান্তি।ইত্তেফাক 
 
[৬] এদিকে ঢাকা ও দেশের আটটি বিভাগের হটস্পটে (যেসব স্থানে পথশিশুর আনাগোনা বেশি) ৫-১৭ বছর বয়সী ৭ হাজার ২০০ শিশুর কাছে সরাসরি গিয়ে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে জরিপ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। জরিপে রাস্তাঘাটে বসবাসকারী শিশুর মোট সংখ্যা না থাকলেও ইউনিসেফ বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এ সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক হতে পারে।বনিক বার্তা

[৭] তাদের মতো অসংখ্য শিশুর ঈদ পথেই কাটছে। যাদের ঈদের আনন্দ স্পর্শ করতে পারেনা। সব শিশুর মতই সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল পথ শিশুরাও ঈদের অনন্দ-উৎসব উপভোগ করবে, তারাও ঈদের দিন আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়