ইমরুল শাহেদ: [২] কোটি বছর আগেও এমনটা ছিল না। নবগ্রহের সংসারে সবচেয়ে হ্যান্ডসাম তাকেই বলা হত। সাতখানা রিং যেন সপ্তমুকুট। গুরুগ্রহ বৃহস্পতির পরে রাজকীয় গ্রহ শনির গ্ল্যামারই আলাদা। বলয়ের বেষ্টনীতে শনির দ্যুতি চোখ ধাঁধিয়ে দিত মহাকাশচারীদের। কিন্তু এখন শনিরও ‘শনির দশা’ চলছে। ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে তার বলয়। নিজের অক্ষ থেকে এমনিও ২৭ ডিগ্রি হেলে রয়েছে সে। সূত্র: দি ওয়াল
[৩] নাসার ক্যাসিনি ও ভয়েজার মহাকাশযানের পাঠানো ছবি ও ভিডিও থেকেই শনি গ্রহের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। নাসার ক্যাসিনি ঝুঁকি নিয়ে শনির বলয়ের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। সেখানে কী কী রহস্যময় ঘটনা ঘটে চলেছে সে খবর পাঠায় পৃথিবীতে। এই ক্যাসিনিই জানিয়েছে, শনির সপ্ত বলয়ে ঝমঝমিয়ে বরফ বৃষ্টি হচ্ছে। একে বিজ্ঞানীরা বলছেন ‘রিং রেন’। বলয়ে জমা বরফ ছিটকে বেরোচ্ছে চারদিকে।
[৪] শনি গ্রহের জোরালো অভিকর্ষ বল ও চৌম্বক ক্ষেত্রের টানেই বলয় থেকে বরফের বৃষ্টি হচ্ছে শনির বুকে। তবে সব সময় তা সমান হারে হচ্ছে কি না, তা বোঝা যায়নি। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর যেমন এক বছর লাগে, তেমনই শনির লাগে প্রায় সাড়ে ২৯ বছর (২৯ বছর ৪ মাস)। ওই প্রদক্ষিণের সময় সূর্যের সঙ্গে তার কৌণিক অবস্থানে শনি কখন এই সৌরমণ্ডলের নক্ষত্রের কতটা কাছাকাছি আসছে বা থাকছে বা কত ক্ষণ থাকছে, তার উপরে ওই বরফ বৃষ্টির পরিমাণে বাড়া-কমা নির্ভর করছে। শনির বলয়গুলির বয়স বেশি নয়, মাত্র ১০ কোটি বছর। শনির বয়স ৪০০ কোটি বছরের বেশি।
আইএস/একে
আপনার মতামত লিখুন :