মাজহারুল মিচেল: [২] ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা রক্ষায় চলতি বছর ইমো নিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী সিকিউরিটি ফিচার। বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নিশ্চিন্ত রাখতেই ইমোর এই প্রচেষ্টা।
[৩] ডিজঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ: একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যক্তিগত মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে এই ফিচারটি। ডিজঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচারটি চালু থাকলে মেসেজ আদান-প্রদানের পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেসেজগুলো দেখা যায়, যা ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুবিধামতো নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে করে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
[৪] সিক্রেট-চ্যাট: সিক্রেট-চ্যাট চালু থাকলে চ্যাট উইন্ডো থেকে বের হয়ে যাওয়া মাত্রই সম্পূর্ণ উইন্ডো মুছে যায়। প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক তথ্যের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই ফিচার হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর।
[৫] টাইম মেশিন: নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে এ ফিচার, যার মাধ্যমে সময় নির্বিশেষে যেকোনও কথোপকথন চ্যাট হিস্ট্রি থেকে ডিলিট করা যায়।
[৬] ব্লক স্ক্রিনশট ফর কলস: ইদানিং তথ্য ফাঁসের পেছনে একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অযাচিত স্ক্রিনশট। তাই, ইমো চালু করেছে ব্লক স্ক্রিনশট ফর কল, যার মাধ্যমে যে কাউকে ভিডিও কল চলাকালে স্ক্রিনশট নেওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে।
[৭] ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট: অপরিচিত ব্যবহারকারীদের থেকে অযাচিত মেসেজের ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয় ফিচার। ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট’ ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপন না হওয়া পর্যন্ত অপরিচিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষদের দূরে রেখে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা যাবে।
[৮] সিম কার্ড বাইন্ডিং: সিম কার্ড বাইন্ডিং ফিচারটির মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের নিজস্ব ফোনের সিম কার্ডের সঙ্গে ইমো অ্যাকাউন্টটি যুক্ত থাকে। এতে শুধু সিম কার্ড সংলগ্ন ডিভাইসটিতেই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায়। যেহেতু অন্যান্য ডিভাইসে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা যায় না, সেহেতু হ্যাকিংয়ের সুযোগও কমে আসে। এমন একটি ফিচার বিশ্বে প্রথমবারের মতো চালু করেছে ইমো। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :