শিরোনাম
◈ মালয়েশিয়ার চাপের মুখে বাংলাদেশে নরম সিদ্ধান্ত, রিক্রুটিং এজেন্সি বাছাইয়ে ছাড় ◈ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে বিশেষ বৈঠক, যেসব সিদ্ধান্ত এলো ◈ ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি, দেখে নিন ছুটির তালিকা ◈ আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি ◈ স্টেডিয়াম দখল নিয়ে বিস্ফোরক আসিফ আকবর: ‘প্রয়োজনে মাঠের অধিকার আদায়ে মারামারিও করব’ ◈ রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় মেট্রোরেল কর্মীদের সব ছুটি বাতিল ◈ ২৭তম সংবিধান সংশোধনী: পাকিস্তানে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি, সুপ্রিম কোর্টের এখতিয়ার সীমিত ◈ হার্ট অ্যাটাক হ‌য়ে হাসপাতালে ‌বি‌সি‌বির সা‌বেক সভাপ‌তি  ◈ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের অনুরোধে ১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার দলের তারেক রহমান ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:১০ সকাল
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাত্র ৩ মিনিটের আলো থেরাপিতে অন্ধত্বের স্থায়ী সমাধান, সুইস গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

সুইজারল্যান্ডের বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা চোখের রেটিনার ক্ষতি পুনরায় ঠিক করতে সক্ষম এবং স্থায়ীভাবে অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষত, মাকুলার ডিজেনারেশন, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রেটিনাকে এই পদ্ধতি পুনর্জীবিত করতে পারে।

কীভাবে কাজ করে থেরাপি

গবেষকরা দেখেছেন, নিয়ার-ইনফ্রারেড লাইটের ৬৭০-ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য রেটিনার কোষকে পুনরুজ্জীবিত করে। এই আলো চোখের ভেতরে প্রবেশ করে ফটোরিসেপ্টর কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াকে সক্রিয় করে। ফটোরিসেপ্টর কোষগুলো সাধারণত রেটিনার রোগে মারা যায়, কিন্তু আলো থেরাপি কোষের শক্তি উৎপাদন পুনরায় শুরু করে, কোষের মৃত্যুরোধ করে এবং আলো সংবেদনকারী প্রোটিনের পুনর্জন্মও উদ্দীপিত করে।

চিকিৎসার প্রক্রিয়া

রোগীরা দৈনিক মাত্র ৩ মিনিট হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস ব্যবহার করে এই আলো গ্রহণ করেন। ট্রায়ালে দেখা গেছে, ১২ সপ্তাহের মধ্যে ৬৮% রোগীর দৃষ্টি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে — ছোট অক্ষর পড়া, রঙ আরও স্পষ্টভাবে দেখা এবং আগে অদৃশ্য থাকা বস্তু লক্ষ্য করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি একজন রোগী, যিনি মাকুলার ডিজেনারেশনের কারণে অন্ধ ছিলেন, তিনি গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন।

এই থেরাপি ১৯৬ মিলিয়ন মানুষের চোখের রোগের ক্ষেত্রে কার্যকর, যাদের জন্য বর্তমানে কোনো কার্যকর ওষুধ নেই। চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, এটি বাড়িতেই ব্যবহার করা যায় এবং ডিভাইসের খরচ ২০০ ডলারের কম। ২০২৪ সালে এই থেরাপির সুইস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমোদন মিলেছে, এবং বিশ্বব্যাপী এটি উপলব্ধ হবে ২০২৫ সালে।

গবেষকরা বলছেন, এটি “আলোর মাধ্যমে চোখের দৃষ্টি রক্ষা” করার এক অনন্য উদাহরণ।

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়