শিরোনাম
◈ তেল আমদানি এখনো পুরনো দামে, যুদ্ধ দীর্ঘ হলে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা হবে: সালেহউদ্দিন আহমেদ ◈ ট্রাম্পের আকস্মিক জি-সেভেন সম্মেলন ত্যাগ: ইরান-ইসরায়েল নয়, আরও বড় কিছু ঘটছে? ◈ জুলাই মাসের মধ্যে `জাতীয় সনদ' তৈরি করতে পারবো: আলী রীয়াজ ◈ ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ বয়কট করল জামায়াতে ইসলামী ◈ নেতানিয়াহুর ঔদ্ধত্যে ইসরায়েলের সামরিক অহংকার চূর্ণ, ইতিহাসে ফিরছেন আহমদ চালাবির ছায়া:হামিদ মীর ◈ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জি-৭ নেতাদের বিবৃতি: ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান, ইরানকে ‘সন্ত্রাসের উৎস’ আখ্যা ◈ ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ২১ মুসলিম দেশ ◈ ভয়াবহ যুদ্ধের ই‌ঙ্গিত দি‌য়ে  ইরা‌নের রাজধানী তেহরানের বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ইসরায়েল ইরানে পরমাণু বোমা ফেললেই, পাকিস্তান পরমাণু হামলা চালাবে নেতানিয়াহুর দেশে, এবার কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? ◈ দেখা হলে সাকিবকে  জিজ্ঞাসা করবো কেন আমার বিরু‌দ্ধে ভুল তথ্য দি‌য়ে‌ছি‌লেন : তা‌মিম ইকবাল

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫৭ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিগারেটের শেষাংশ জমিয়ে শত কোটি টাকার মালিক ! (ভিডিও)

২০১৮ সালে দুই ভাই নমেন গুপ্ত ও ভিপুল গুপ্ত সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করার চিন্তা শুরু করেন। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেন। শুরুতে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তাঁদের এ উদ্যোগ বড় রূপ নিয়েছে। রীতিমতো এ জন্য কারখানাও গড়ে তুলেছেন দুই ভাই মিলে। আর তাঁদের এ উদ্যোগ প্রশংসিতও হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

ভারতের ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাঁট দিয়ে খেলনা, বালিশসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে প্রশংসিত হচ্ছেন দুই তরুণ উদ্যোক্তা। এ জন্য দুই তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন কোড ইফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানি, যেটির কারখানা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডা শহরতলিতে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা বলছেন, এই কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তাঁরা পরিবেশ সুরক্ষায়ও কাজ করছেন। খবর এনডিটিভি ও আনাদুলু এজেন্সির

উদ্যোক্তা নমেন গুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুরুটা করেছিলাম দিনে ১০ গ্রাম তুলা (ফাইবার) দিয়ে। এখন দৈনিক ১ হাজার কেজি তুলা সংগ্রহ করছি। এভাবে বছরে আমরা লাখ লাখ সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করছি।’

প্রথমে শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে সিগারেটের স্টাব বা বাঁট সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সেটি থেকে ফাইবার বা তুলার অংশটি আলাদা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাত এই তুলা থেকে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পণ্য। কোড ইফোর্টের প্রতিষ্ঠাতা নমেন বলেন, একটি সিগারেটের বাঁটে তিনটি উপাদান থাকে—ফাইবার, কাগজ ও তামাক। আমরা এই তিনটি অংশকেই পুনর্ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত রাস্তা থেকে ৩০ কোটির বেশি সিগারেটের বাঁট সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। এসব বাঁট দিয়ে নরম খেলনা, বালিশ, বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্য ও বাড়ির সাজসজ্জার সামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি পণ্য বানান তাঁরা।

এ ছাড়া সিগারেটের বাঁটের বাইরের কাগজের স্তর ও উচ্ছিষ্ট তামাককেও আলাদা করে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরে এগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কাগজ ও কম্পোস্ট পাউডার। এ ছাড়া সম্প্রতি ডায়েরি, নোটপ্যাড, খাম ইত্যাদি বানানো শুরু করেছেন তাঁরা। ২০২৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ কোটি সিগারেটের বাঁট পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নমেন গুপ্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তাদের অনুমানে ভারতের ৩০ শতাংশ বা প্রায় ২৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। তাতে প্রতিদিনই কয়েক কোটি সিগারেটের বাঁট রাস্তায় ফেলা হয়। এতে রাস্তা ময়লা হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশদূষণও হচ্ছে। সেই দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দুই ভাইয়ের উদ্যোগ।

নমেন গুপ্ত বলেন, ‘রাস্তায় ফেলে রাখা সিগারেটের বাঁটগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখছি। পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে সিগারেট ছেড়ে দিতেও উদ্বুদ্ধ করছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়