রিয়াদ হাসান: বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার শান্ত। সর্বশেষ এক-দেড় বছর ধরে নিয়মিত দলের সঙ্গে তিনি। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও ছিলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান স্কোরার। তবু দর্শকদের খুশি করতে পারেননি। উল্টো একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন। কয়েকদিন আগে তো আক্ষেপ করে বলেই ফেলছিলেন, মনে হয় আমি বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছি। ইত্তেফাক
এবারের বিপিএল আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটারদের একজন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী এক প্রান্ত আগলে খেলে যাচ্ছেন তিনি। তাই অন্যপ্রান্তে নির্ভার হয়ে খেলতে পারছেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হোসেন, মুশফিকুর রহিমরা। ফলে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শত ট্রল কিংবা সমালোচনাতেও বাধা প্রাপ্ত হয়নি শান্তর ব্যাটিং। অন্যান্য দলের কোচ খেলোয়াড় সবার মুখে একটাই কথা-শান্তর মানসিক দৃঢ়তা অনেক বেশি। না হলে এত ট্রল-সমালোচনায় এমন পারফরম্যান্স করা কখনোই সম্ভব না।
মঙ্গলবার (২৪জানুয়ারি) বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী ইনিংস (৬৬ বলে ৮৯ রান) শেষে সংবাদ সম্মেলনে আবারও ট্রলের বিষয়টি উঠে আসে। শান্ত জানান, কে কী সমালোচনা করল সেটা আমি চিন্তা করি না। আমার চিন্তা একটাই-দল কী চায় আমার থেকে। সে অনুযায়ী খেলতে পারলে খুশি থাকি। টিমের চাহিদা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। যত বেশি ব্যাটিং করতে পারি সেটাই টিম চাচ্ছে।
ট্রল নিয়ে তিনি বলেন, এটি তার নিজের ওপর প্রভাব না ফেললেও পরিবার সহজভাবে নিতে পারে না। শান্ত বলেন, আমি কতটা হার্ডওয়ার্ক করি তা বাইরের কেউ জানার কথা নয়। যার যার চিন্তাভাবনা থেকে কথা বলে। এতে আমার করার কিছু নেই। এটা নিয়ে আমি ভাবিও না। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমার জন্য যতটা ডিফিকাল্ট তার চেয়ে বেশি ডিফিকাল্ট ফ্যামিলির জন্য। তারা এসব মেনে নিতে পারে না। আমি এটা বলছি না যে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। আমি খারাপ খেললে অবশ্যই সমালোচনা হবে। তবে তা একটু ডিসেন্ট ওয়েতে হলে পরিবারের জন্য ভালো। সেভাবেই হওয়া উচিত।
এতকিছুর পরেও ভালো খেলার পর কেমন লাগে-জানতে চাইলে শান্ত বলেন, আসলে ব্যাটিং ভালো হচ্ছে। এতে বেশি উচ্ছ্বাসিত হওয়ার কিছু নেই। এটাই আমার দায়িত্ব। আরো ইমপ্রুভ করার আছে। কাজ করছি, যেন আরো ইমপ্রুভ করতে পারি।
আরএইচ/এইচএ