স্পোর্টস ডেস্ক : ইস্তাম্বুলের প্রসিকিউটর কার্যালয় জুয়া ও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এদের মধ্যে ২৯ জনই পেশাদার ফুটবলার।
ইতিমধ্যে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তুর্কি পুলিশ। প্রসিকিউটরদের দাবি- গ্রেপ্তার হওয়া ২৭ জন খেলোয়াড় নিজেদের দলের ম্যাচে বাজি ধরতেন। বাকি ১১ জনের মধ্যে পাঁচজন বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে আলোচিত নাম তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচের অধিনায়ক মের্ত হাকান ইয়ানদাস। তাঁর বিরুদ্বে অভিযোগ- তিনি তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে ম্যাচে বাজি ধরতেন। তুরস্কের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হয়েছেন গালাতাসারাইয়ের ডিফেন্ডার মেতেহান বালতাচিও। নিজ দলের ম্যাচসহ বিভিন্ন খেলায় বাজি ধরার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ডিফেন্ডারকে সম্প্রতি তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। বাকি সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান চলছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চালানো হবে।
অভিযুক্তদের মধ্যে আরও আছেন- আঙ্কারাস্পোরের মালিক ও সভাপতি, নাজিল্লি বেলেদিয়েস্পোরের সভাপতি। আছেন দুই কোচও, যারা ২০২৪ সালের একটি ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের উমরানিয়েস্পোর গিরেসুনস্পোর ম্যাচ পাতানোর চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে ছয়জনের বিরুদ্ধে।
তালিকায় আরও আছেন- আদানা দেমিরস্পোরের সাবেক সভাপতি মুরাত সানচাক, জনপ্রিয় সাবেক রেফারি ও বিশ্লেষক আহমেত চাকার ও দেশটির শীর্ষ লিগের রেফারি জরবাই কুচুক। কুচুকের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
তুরস্কে জুয়ার সংকট নতুন নয়। এর আগে নভেম্বরে অনলাইন জুয়ায় জড়ানোর জন্য ১৪৯ জন রেফারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তুরষ্কের ফুটবল ফেডারেশন। এক হাজারের বেশি খেলোয়াড়কে বাজি সংক্রান্ত অভিযোগে নিষিদ্ধ করেছিল।