স্পোর্টস ডেস্ক : নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ ও এশিয়া কাপের প্রস্তুতির ক্যাম্পের জন্য সিলেটে যাওয়ার আগে ঢাকার একটি হোটেলে বিসিবির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ একটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও টিম ম্যানেজমেন্ট। আলোচনা শেষে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে ক্রিকেটারদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবে বোর্ড। -- অলআউট স্পোর্টস
মঙ্গলবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ নামের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিসিবির দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, টিম ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি পরিচালক এবং কর্মকর্তারা।
দলের অভ্যন্তরীণ বন্ধন দৃঢ় করা, সরাসরি যোগাযোগ উৎসাহিত করা এবং বোর্ড ও দলের যৌথ মূল্যবোধকে সামনে আনাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
কিছুদিন আগে বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের মধ্যে তাদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা, প্রত্যাশা, এরকম নানা বিষয় নিয়ে একটি জরিপের আয়োজন করা হয়েছিল। সেটির প্রেক্ষিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভা শেষে আমিনুল জানান, জরিপে ক্রিকেটারদের কাছে আটটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেগুলোর উত্তর বিশ্লেষণ করে দলের সঙ্গে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতি তিন মাসে একবার করে এরকম আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
খেলোয়াড় এবং টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে সরাসরি শোনা ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা। ক্রিকেটারদের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব বলতে শুধু ইন্সুরেন্স বা মেডিকেল নয়, মাঠে কোচরা যে স্কিল উন্নতিতে কাজ করেন, সেটিই সবকিছু নয়… এখানে লজিস্টিকস, পোশাক, পিচ কন্ডিশন, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা, সার্বিক সাপোর্ট আমরা কতটুকু করতে পারছি, সবকিছুই।
তাদের মনের কথা তারা মন খুলে লিখেছে, পরামর্শ দিয়েছে সকলে। সেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে কোথায় অবস্থান করছি। অবস্থান যেহেতু জেনে গিয়েছি, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।
লিটন দাস দলের ধারাবাহিকতা ও একাগ্রতার ওপর জোর দিয়ে জানান, সবাই তাদের কঠোর পরিশ্রম দেখলেও এর পেছনের প্রক্রিয়াটা অনেকে বোঝে না। ক্রিকেটাররা তাদের দায়িত্বে মনোযোগী আর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে পারলে এই পরিশ্রম শিগগিরই ফল দেবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে জানান, খেলোয়াড় হিসেবে তারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হন যখন তারা সারা বছর সহায়তা পায়। তাই স্থানীয় কোচিং স্টাফদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা জরুরি বলে মত দেন তিনি। তবেই এমন পরিবেশ তৈরি হবে যেখানে খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চ পারফর্ম করতে পারবে।