সোনালি দিনের রুপালি পর্দায় চিত্রনায়িকা নূতন তার অভিনয় ও নাচের জাদুতে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন ৮০ এবং ৯০ এর দশকে। সময়ের ব্যবধানে এই অভিনেত্রী অনেকটাই অলস সময় পার করছেন। রুপালি পর্দায় তার উপস্থিতি নেই। সম্প্রতি মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নানা কথা বলেন, বিশেষ করে শিল্পী সমিতির বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশার কথা জানান তিনি।
নূতন বলেন, এই সমিতি তো নূতন নামে যে একজন অভিনেত্রী আছেন সেটা ভুলেই গেছে। খোঁজখবর রাখা তো দূরের কথা। বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক মহোদয় দু’জন তো নামকা ওয়াস্তে পদ আগলে রেখেছেন। নূতন ক্ষোভের সুরে বলেন, এর মধ্যে একজন তো ধর্মীয় লেবাস পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় গরম গরম বয়ান দেন। কীভাবে সত্যকে মিথ্যা বলতে হয়- তা ভালো করে রপ্ত করেছেন।
পর্দায় তার অভিনয়ের চেয়ে বাস্তবের অভিনয় প্রাণবন্ত। তিনি আরও জানান, প্রয়াত অভিনেত্রী অঞ্জনার রুহের মাগফিরাত কামনা করে শিল্পী সমিতিতে যে মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তার পুরো অর্থ নায়ক আলমগীর সাহেব প্রদান করেছিলেন। দুঃখের বিষয় এই পুরো কৃতিত্ব গণমাধ্যমে নিজের নামে চালিয়েছেন সেই লেবাসধারী সমিতির নেতা। যার ফলশ্রুতিতে আলমগীর সাহেবের সঙ্গে সমিতির দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যদিও এ বিষয়ে তিনি কথা বলতে আগ্রহী নন।
চলচ্চিত্রের অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নায়িকাদের মধ্যে শাবানা, ববিতা, কবরীর পর শাবনূর, মৌসুমী, পূর্ণিমা শেষ সফল বংশধর। আর বর্তমানে নায়িকাদের কাজের চেয়ে বেডরুমের খবরই প্রকাশ্যে বেশি আসছে; যা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য লজ্জাজনক। কোন নায়িকার কয়টা সুগার ড্যাডি, কার বন্ধু দুবাইয়ের শেখ, অনেকে আবার উটের দুধ নিয়ে ভাইরাল।
তাদের সময় কই শিল্পচর্চা করার। গণমাধ্যম তারা তাদের পোশাকের মূল্য নিয়ে ফিরিস্তি নিয়ে বসেন। নূতন বলেন, এফডিসিতে কিছু তথাকথিত বিত্তশালী কাঁচা পয়সার বদৌলতে প্রযোজক সাজেন এবং ছবির মহরত করেন। তাদের ছবি পরে মুক্তি পায় না। ওইসব প্রযোজক সিনেমার নাম ভাঙিয়ে অন্যায় করে বেড়ান।