স্পোর্টস ডেস্ক : সানিয়া চান্ডোকের সঙ্গে অর্জুন টেন্ডুলকারের বাগদানের ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন পড়ে যায়।
শচীন টেন্ডুলকারের ছেলের পাত্রী সম্বন্ধে জানতে হিড়িক পড়ে যায়। মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে সানিয়া। শিল্পপতি রবি ঘাইয়ের নাতনি। হসপিটালিটি এবং ফুড সার্ভিসের জন্য পরিচিত ঘাই পরিবার। তাঁরা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এবং ব্রুকলিন ক্রিমারীর মালিক।
অন্যদিকে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য অর্জুন। কিন্তু অর্জুনের সার্বিক আয় বা নিট মূল্য কত জানেন? শচীনের ছেলে হিসেবে নয়, অর্জুন নিজেই কোটিপতি।
২০২১ সাল থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সদস্য তিনি। চুক্তি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ কামান। ২০২১ সালে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা তাঁকে ২০ লক্ষতে কেনে। ২০২৩ সালে শচীনপুত্রকে ৩০ লক্ষতে ফের নেয় মুম্বই। আইপিএল ছাড়াও গোয়ার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন।
রঞ্জি ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বছরে ১০ লক্ষ আয় অর্জুনের। সার্বিকভাবে শচীনপুত্রের নিট মূল্য ২২ কোটি। তারকা বাবার সুবাদে হাইফাই লাইফস্টাইল অর্জুনের। পরিবারের সঙ্গে মুম্বইতে থাকেন। ২০০৭ সালে ৩৯ কোটি দিয়ে এই বাড়ি কেনেন শচীন।
মূলত তিনি বাঁ হাতি পেসার। ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। গোয়ার হয়ে ১৭টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৩৭ উইকেট নেন। ৫৩২ রান করেন। ২৪টি টি-২০ খেলেন। নেন ২৭ উইকেট। ১১৯ রান করেন। ১৮টি লিস্ট এ একদিনের ম্যাচে অংশ নেন। তুলে নেন ২৫ উইকেট। ১০২ রান করেন।
২০২৩ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় অর্জুনের। চারটে ম্যাচ খেলেন। তিনটে উইকেট নেন। পরের মরশুমে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেন। কোনও উইকেট পাননি।
মাস তিনেক আগে অর্জুন প্রসঙ্গে যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজের এক মন্তব্য নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল।
তিনি বলেছিলেন, শুধু বোলিং করিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে ক্রিকেট ঈশ্বরের পুত্রকে। তাঁকে ব্যাটিং করতে দেওয়া উচিত। তারও আগে, যোগরাজ বলেছিলেন, 'অর্জুন তেন্ডুলকর যদি আমার কাছে এখন আসে, আমি ওকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান বানিয়ে দেব ছ'মাসের মধ্যে।
ওর ব্যাটের হাত কত ভাল, তা অনেকেই জানেন না। ও আমার সঙ্গে ১২ দিন ছিল, রঞ্জি ট্রফির অভিষেকে শতরান করে অর্জুন।' কীভাবে শচীনপুত্রর দায়িত্ব নিয়েছিলেন যোগরাজ, সেই কথা উঠে এসেছিল এক সাক্ষাৎকারে।
যোগরাজ সেখানে বলেছিলেন, 'শচীন আর যুবরাজ এসে আমাকে অনুরোধ করে অর্জুন তেন্ডুলকরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। আমার সঙ্গে ১০-১২ দিন ছিল। আমার মতে, অর্জুন দুর্দান্ত একজন ব্যাটার।
ওকে কেন বোলিংয়ে ফেলে রাখা হয়েছে? বোলিং করিয়ে ওর মতো প্রতিভাকে কেন নষ্ট করা হচ্ছে?' বাইশ গজে এখনও তেমন সুনাম অর্জন করতে পারেননি। ঢাকা পড়েছেন তারকা বাবার ছায়ায়। তবে বাগদানপর্বে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন অর্জুন।