স্পোর্টস ডেস্ক : রিজান হোসেনের দুর্দান্ত পাফরমেন্স। ব্যাট হাতে ৯৫ রান, বল হাতে ৫ উইকেট। যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে শিরোপা জেতালেন রিজান।
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৫ উইকেটে করে ২৬৯ রান। জবাবে ২৩৬ রানে অলআউট হয়েছে প্রোটিয়া যুবারা।
বাংলাদেশের হয়ে কালাম সিদ্দিকী ৬৫ রান করেছেন। রিজান ৯৫ রান করে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। শেষ দিকে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫৯ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকান দুই ওপেনার। দুজনেই অবশ্য ফিরেছেন ৭ রানের ব্যবধানে।
৩১ বলে ৪০ রান আদনান লাগাদিয়েনের। ১৯ রান জোরিখ ভ্যান শাল্কউইকের। তিন নম্বরে নেমে ৩১ রান করেন মোহাম্মদ বুলবুলিয়া। মাঝে জেসন রোলসের ৩৫ রান।
২ উইকেটে ১১১ থেকে এক পর্যায়ে ১৬৪ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। যেখানে কৃতিত্ব দিতে হয় বাংলাদেশি বোলারদের। বিশেষ করে পেসার আল ফাহাদ, রিজান হোসেনের সাথে স্পিনার স্বাধীন ইসলামের নাম বলতে হয়।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষদিকে ব্যান্ডিল এমবাথা (২৯) ও এনটান্দো সোনি (৩৪) কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। ২৩৬ রানে অলআউট প্রোটিয়া যুবারা। বাংলাদেশের হয়ে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেন রিজান হোসেন। আল ফাহাদ ৩ টি ও স্বাধীন ইসলাম ২ টি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার রিফাত বেগ ও জাওয়াদ আবরার ৪১ রানের জুটি গড়েন। ১৬ রান করে রিফাত আউট হলে ভাঙে জুটি।
এরপর রান আউটে কাটা পড়ে বেশি দূর যেতে পারেননি জাওয়াদও (৪২ বলে ২১ রান)। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও থেমেছেন ৭ রানে। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বাংলাদেশকে পথ দেখান কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তোলেন ১১৭ রান। ৭৫ বলে ৬ চারে ৬৫ রান করে কালাম ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নিয়ে শতকের দিকে এগিয়ে যান রিজান।
৯৬ বলে ৯৫ রান করে ফিরেছেন দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। ১০ চারে ইনিংসটি সাজান এই তরুণ ব্যাটার।
শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে চড়ে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে থামে।