স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে খেলে ইতিহাস গড়েছে। সেই ঐতিহাসিক অর্জনের রেশ না কাটতেই এবার চোখ আরও বড় স্বপ্নে ২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসছে ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের আসর, আর সেখান থেকেই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্নযাত্রা। - চ্যানেল২৪
এশিয়ান কাপ থেকেই ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের মূল পর্বে সুযোগ পাবে ছয়টি দল। এছাড়া আরও দুটি দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। ফলে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হলে বাংলাদেশকে থাকতে হবে অন্তত সেরা ছয়ের মধ্যে।
এই টুর্নামেন্টে ১২টি দল অংশ নেবে এবং তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে তারা। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’দল সরাসরি যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে সেরা দু’দলও সুযোগ পাবে শেষ আটে।
কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী চার দল সরাসরি জায়গা করে নেবে ২০২৭ বিশ্বকাপে। হেরে যাওয়া চার দল নিজেদের মধ্যে দুটি প্লে-ইন ম্যাচ খেলবে, যেখানে জয়ী দু’দল বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাবে। বাকি দু’দলকে নামতে হবে কঠিন আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
বিশ্বকাপ ছাড়াও এশিয়ান কাপ হবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইয়ের মঞ্চ। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো আটটি দল সুযোগ পাবে অলিম্পিক বাছাইপর্বে অংশ নেয়ার। সেখানে দু’গ্রুপে ভাগ হয়ে হবে খেলা। প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলই খেলবে অলিম্পিকে।
এদিকে আগামী ২৯ জুলাই সিডনির টাউন হলে হবে এশিয়ান কাপের ড্র। দলগুলোকে চারটি পটে ভাগ করা হয়েছে র্যাঙ্কিং অনুযায়ী। বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ পটে, যেখানে রয়েছে ভারত এবং বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এ’ থেকে উঠে আসা দলটিও।
প্রথম পটে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া (স্বাগতিক), জাপান এবং উত্তর কোরিয়া। দ্বিতীয় পটে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। তৃতীয় পটে আছে ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তান।
২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হবে ১ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরের পাঁচটি ভেন্যুতে।