শিরোনাম
◈ বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান ও পরিবারের ৩৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ইশরাকের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ◈ ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কারণে চাপে ◈ পুশ ইন-এর সময় ধরা পড়লে কী বলবে, তা পর্যন্ত শিখিয়ে দেয় বিএসএফ ◈ পদত্যাগ করছেন না প্রধান উপদেষ্টা: পরিকল্পনা উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ লন্ডনে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ ◈ ট্রাম্পের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নীতি স্থগিত: হার্ভার্ডে ভর্তিতে আর বাধা নেই ◈ ঈদের আগেই বাজারে আসছে ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নতুন নোট: গভর্নর ◈ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ◈ প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে চলছে একনেক সভা

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫, ১০:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

১৬ রানে ৭ উইকেট হারা‌নো আর‌সি‌বি হায়দরাবা‌দের  বিরু‌দ্ধে জিত‌তে পার‌লো না 

স্পোর্টস ডেস্ক : বিরাট কোহলির আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে ফিল সল্টের হাফ সেঞ্চুরিতে লাইনেই ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আর‌সি‌ব) রান তাড়ার ট্রেন। একটা সময় তাদের রান ছিল ৩ উইকেট ১৭৩। এমন সময় রান আউট হয়ে ফিরলেন রজত পাতিদার। অধিনায়ক যখন আউট হলেন তখনও বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ৩২ বলে ৫৯ রান। রোমারিও শেফার্ড, জিতেশ শর্মা, টিম ডেভিডের সঙ্গে ক্রুনাল পান্ডিয়ার মতো ব্যাটার থাকায় কাজটা কঠিন হওয়ার কথা নয় তাদের জন্য। অথচ আচমকা এক ঝড়ে যেন ওলট-পালট হয়ে গেল সবকিছু।

রজত ফেরারের ওভারে ইশান মালিঙ্গার ওভারে আউট হলেন মারকুটে শেফার্ডও। পরের ওভারে জয়দেব উনাদকাটকে উইকেট দিয়ে গেছেন দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা জিতেশও। চাপের মুখে কিছুই করতে পারলেন না ডেভিড, ক্রুনালরা। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে শেষের ৭ উইকেট হারিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হেরেছে বেঙ্গালুরু। প্যাট কামিন্সের দলের কাছে ৪২ রানে হেরে যাওয়া সেরা দুইয়ে থাকার সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেল কোহলি-রজতদের জন্য। -- ক্রিক‌ফ্রেঞ্জি

একানা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৩১ রান তাড়ায় একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করছিলেন কোহলি। ডানহাতি ব্যাটার দ্রুত রান করলেও অন্যপ্রান্তে থাকা সল্ট খানিকটা রয়েসয়েই খেলছিলেন। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭২ রান তোলে বেঙ্গালুরু। পাওয়ার প্লে শেষে কোহলি ও সল্টের ৮০ রানের জুটি ভাঙেন হার্শ দুবে। বাঁহাতি স্পিনারের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন কোহলি।

দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পথে থাকলেও কেহলিকে ফিরতে হয়েছে ২৫ বলে ৪৩ রান করে। কোহলি আউট হওয়ার পর হাত খুলে খেলতে থাকেন সল্ট। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়াল। নীতিশ রেড্ডির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে খেলার চেষ্টায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। একটু পর আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিয়ান সল্টও।

কামিন্সের দারুণ এক ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়েছেন হার্শাল প্যাটেলের হাতে। ৫ ছক্কা ও ৪ চারে ৩২ বলে ৬২ রান করে আউট হয়েছেন সল্ট। পরবর্তীতে জুটি গড়ে আশা দেখিয়েছিলেন জিতেশ ও রজত। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নেমে রজত ১৮ রান করেছেন। জিতেশের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ রান। শেষের দিকে শেফার্ড, ডেভিডরা দাঁড়াতে না পারায় ১৮৯ রানে থামতে হয় বেঙ্গালুরুকে। হায়দরাবাদের হয়ে কামিন্স তিনটি ও মালিঙ্গা দুটি উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে হায়দরাবাদকে ভালো শুরু আভাসই দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড। একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের চেষ্টায় ছিলেন তারা দুজন। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন লুঙ্গি এনগিদি। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সমান তিনটি করে ছক্কা ও চারে ১৭ বলে ৩৪ রান করা অভিষেক। পরের ওভারে আউট হয়েছেন হেডও।

ভুবনেশ্বর কুমারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন শেফার্ডের হাতে ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর হেনরিখ ক্লাসেন ও ইশান কিশান মিলে জুটি গড়েন। তারা দুজনও আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়েই প্রভাব বিস্তার করছিলেন। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভেঙেছে ক্লাসেনের বিদায়ে। সুয়াশ শর্মার ফুলার ডেলিভারিতে ছক্কা মারতে গিয়ে শেফার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ বলে ২৪ রান করা ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়