স্পোর্টস ডেস্ক : আগের দিন এই সময়ে শারজাতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিলেন। রোববার নামলেন দিল্লিতে আইপিএল ম্যাচ খেলতে। উড়ে এসে, ক্লান্তি দূরে রেখে মুস্তাফিজুর রহমান দেখালেন ঝলক। দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে চাপের মুখে করলেন মাথা ঠান্ডা রাখা বোলিং। -- ডেইলি ক্রিকেট
বাকি বোলারদের যখন তুলোধুনো করছে গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটাররা তখনো রান খরচে মুস্তাফিজ দেখালেন কৃপণতা। ১৯৯ রান করেও ম্যাচ হারলো দিল্লি, তবে বল হাতে উজ্জ্বল মুস্তাফিজ।
৩ ওভারে খরচ করলেন ২৪ রান। যা বাকি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম। সাই সুদর্শনের সেঞ্চুরি (৬১ বলে অপরাজিত ১০৮) ও শুবমান গিলের অপরাজিত ৯৩ রানে ১ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ গুজরাটের। ১০ উইকেটে বড় জয় তাদের। বৃথা গেলো লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম ৩ ওভারে ৪৩ রান তুলে ফেলা গুজরাটকে অস্বস্তিতে ফেলেন টাইগার পেসার। ২ ডট সহ খরচ করেননি ৬ রানের বেশি।
ইনিংসের ৬ নম্বর ওভারে আবারও আক্রমণে আসে বাঁহাতি পেসার। এবারও মুস্তাফিজ ছিলেন মিতব্যয়ী। খরচ করলেন ৭ রান। প্রথম ২ ওভারে উইকেট না পেলেও কাটার মাস্টারের খরচ মাত্র ১৩ রান। এরপর ১৬তম ওভারে এসে কিছুটা এলোমেলো। খরচ করলেন ১১ রান। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে ২৪ রানে উইকেট শূন্য।
সুদর্শন ও গিলের ঝড়ে ১০ উইকেটে ম্যাচ হারলো মুস্তাফিজরা। যে কারণে কাটার মাস্টারকে আর বোলিং করতেই হয়নি।
এর আগে দিল্লিকে ১৯৯ রানের পুঁজি এনে দেন ওপেনার লোকেশ রাহুল। ৬৫ বলে এই কিপার ব্যাটারের অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস।