শিরোনাম
◈ আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ ◈ গ্যাসসংকট: কমছে শিল্প উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ◈ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের ফোনালাপ, কী কথা হলো? ◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি  

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:২৯ বিকাল
আপডেট : ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার মতো দেশে কেউ নেই: তামিম ইকবাল

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ দলে স্থানীয় কোনো কোচকে প্রধান কোচ হিসেবে কেন রাখা হয় না তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই! মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, খালেদ মাহমুদ সুজনদের মতো দেশের অন্যতম সেরা কোচরাও কখনো জাতীয় দলের স্থায়ী হেড কোচ হতে পারেননি। এ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সমালোচনাও কম হয়নি। এবার তামিম ইকবাল জানালেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশে হেড কোচ হওয়ার মতো স্থানীয় কোনও কোচ নেই বলেই মনে করছেন এই ওপেনার।

আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়বেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপর প্রধান কোচ কে হবেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে বাংলাদেশ দলের ভারত সফরে আছেন তামিম ইকবাল।

ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় দলে স্থানীয় কাউকে কোচ বানানো নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর সেখানেই তামিম দেখালেন ভিন্ন এক যুক্তি। - ক্রিকফ্রেঞ্জি

তামিম বলেন, আমার মনে হয় না, প্রধান কোচ হওয়ার মতো যোগ্য কেউ এখন আছে বাংলাদেশে। এখন এমন দু-তিনজন আছেন, যারা সহকারী কোচ হতে পারেন। কিন্তু আমার মনে হয় না, তারা জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার উপযুক্ত।

হেড কোচ হিসেবে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিদেশি কোচ চাইলেও স্থানীয় কোচ হিসেবে দেশি কাউকেই চান তামিম। মিজানুর রহমান বাবুল, সোহেল ইসলাম, তুষার ইমরান, তালহা জুবায়েরদের মতো কোচদের জাতীয় দলের আশেপাশে চান তিনি।

তামিম আরও বলেন, বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে ৭০: ৩০ অনুপাত থাকা উচিত। প্রধান কোচ পদে একজন বিদেশি ও তার সঙ্গে বড়জোর আরও দুজন বিদেশি কোচ থাকতে পারেন। সহকারী কোচ পদে বাকি ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি নিয়োগ করা উচিত। তাতে স্থানীয় কোচদের বেড়ে ওঠায় সাহায্য হবে এবং একদিন তারা প্রধান কোচ হতে পারবেন।

এ ছাড়া বড় নামের পেছনে না ছুটে কোচিং মেধা যাচাই করে সত্যিকারের ভালো কোচ আনার ব্যাপারে জানিয়েছেন তামিম। উদাহরণ হিসেবে ভারতের কোচিং প্যানেলে থাকা অভিষেক নায়ার ও রায়ান টেন ডেসকাটের নাম নিয়েছেন তিনি।

তামিম বলেন, রায়ান টেন ডেসকাট কি ক্রিকেটে খুব বড় নাম? তবু সে কিন্তু ভারতের কোচিং স্টাফের অংশ। আমাদের তার মতো মানুষ প্রয়োজন, যে পর্দার আড়ালে কাজ করবে। অভিষেক নায়ার কি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন? বিসিসিআই কেন তাহলে তাকে সহকারী কোচ হিসেবে পেতে চেয়েছে? কারণ, দলে ভালো কিছু যোগ করার মতো সামর্থ্য তার আছে।

বাংলাদেশের বড় নামের পেছনে ছোটা বন্ধ করা উচিত। কারণ, বিখ্যাত সবাই দলের জন্য ভালো কোচ হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কারা মানানসই, সেটা তাদের (বিসিবি) খুঁজে বের করতে হবে। সেই ব্যক্তিকে কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দলে কিছু যোগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়