শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২৪, ১০:১৫ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৪, ১০:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অর্থাভাবে ধুঁকছে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়া দেশের ব্রিজ খেলা  

নাঈমুল হাসান তপু (সাধারণ সম্পাদক)

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে খেলা একটি ক্রীড়া ইভেন্ট অবহেলার শিকার হতে পারে, তা ব্রিজ খেলা না দেখলে বুঝার উপায় নেই। সম্ভাবনাময় এই খেলার প্রতি খুব একটা দৃষ্টি নেই সরকারের। যার ফলে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, হ্যান্ডবল, দাবা, আর্চারী ও তায়কোয়ান্ডোর মতো পরিচিতি পায় না ব্রিজ খেলা। বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে খেলেও সরকারের দাক্ষিণ্য পেলো না এই ক্রীড়া ইভেন্টটি। তাই বছরজুড়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সাধ থাকলেও সাধ্য নেই এই ক্রীড়া ফেডারেশনের।

লোকাল টুর্নামেন্ট চালাতে যাদের নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়, সেই ব্রিজ ফেডারেশন কর্মকর্তারা ব্রিজ খেলাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি বাড়াতে যার পরনাই লড়ে যাচ্ছে। ব্রিজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান তপু আক্ষেপের সুরে অনেক সমস্যার কথা জানালেন। তিনি বলেন, ১৫০ স্কয়ার ফিটের কক্ষে ব্রিজের কার্যক্রম পরিচালনা অনেক কষ্টের। টিম ইভেন্টে খেলতে বড় জায়গার প্রয়োজন, সেটা আমাদের নেই। 
 
নেই আইটি সাপোর্টও। যার ফলে খেলার রেজাল্ট প্রিন্টআউট করা যায় না। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, এখনো আমাদের কার্ড হাতে বন্টন করতে হয়। এই কার্ড দিয়ে ডুপ্লিকেট ব্রিজ খেলানো হচ্ছে। শার্পলার মেশিন থাকলে কার্ড হাতে বন্টনের প্রয়োজন হয় না। ব্রিজ খেলার জন্য এই মেশিনটি জরুরি প্রয়োজন।

ব্রিজ ফেডারেশন জম্মলগ্ন থেকেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেওয়া বছরে ৩ লাখ টাকার অনুদানে ঘরোয়া ব্রিজ টুর্নামেন্টের আয়োজন সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ফেডারেশন কর্তারা গলদঘর্ম হয়ে পড়েন আর্থিক অনটনের কথা মনে করে। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে তারা পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে অংশগ্রহণ করে। 

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সাধ আছে, সাধ্য নেই। আর্থিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ব্রিজ খেলোয়াড় তুলে আনার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ব্রিজ খেলার প্রসারের লক্ষ্যে সরকার বিশেষ নজর দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়