নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষবার যখন কোন ক্রিকেটীয় কার্যক্রম হয়, পেসার নাহিদ রানা তখন স্রেফ ৩ বছরের শিশু। ঐতিহাসিক মাঠটিতে তিনি তাই ঢুকলেন প্রথমবার। নাহিদের কথা শুরতেই বলার কারণ বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতায় এই তরুণ এক গ্রুপে হয়েছেন সেরা। দারুণ ফিটনেস দেখিয়ে তালি পেয়েছেন সবার।
কিছুদিন পরেই টাইগারদের ঘরের মাঠে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করছেন ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। আর তাই টাইগাররা বেশ ভালোভাবেই নজর দিচ্ছেন এই সিরিজের দিকে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পাশাপাশি আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। যার অংশ হিসেবে শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১৬০০ মিটার দৌড়েছেন জাতীয় দলের বিবেচনায় থাকা প্রায় ৩৫ ক্রিকেটার। বিসিবির ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স অ্যাসেসমেন্টের রানিং প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছেন দুই পেসার।
এক গ্রুপে প্রথম হয়েছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। চমক দেখিয়েছেন বর্তমান দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। সিনিয়র ক্রিকেটার হয়েও তরুণদের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে এক গ্রুপের দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।
বর্তমান দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার সিনিয়র ৩৮ পেরুনো মাহমুদউল্লাহ দৌড় শেষ করেছেন সবার শেষে। ফিটনেস সেশন শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানান, ডিপিএল-বিপিএলের পর ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থা বুঝার জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কেমন সেটা বুঝলাম। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গেছে, বিপিএল গেছে। এরপর ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য এই উদ্যোগ। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করবো। ওদের জানিয়ে দেবো, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করবো।
এলআরবি/একে
আপনার মতামত লিখুন :