রিয়াদ হাসান: [২] বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার প্রতিবাদে এক মার্চ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই দিন সকাল সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সারাদেশে বিক্ষোভ সংঘটিত হবে।
[৩] বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বামজোটের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
[৪] বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি এবং পর্যায়ক্রমে আরও মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এতে বলা হয়, সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট নিংড়ানোর নীতি গ্রহণ করেছে। আইএমএফ’র শর্ত মানাসহ অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ যোগান দিতে জনগণের কাছ থেকে আইন করে টাকা তোলার নীতি নিয়ে চলছে সরকার।
[৫] বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সরকার সব ধরনের যুক্তি, দেশের সাধারণ মানুষের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি উপেক্ষা করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এটাও জানিয়েছে মূল্য সমন্বয়ের নামে এই মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তার অর্থ হল পহেলা মার্চ থেকে যতটুকু বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলো প্রকৃতপক্ষে মূল্যবৃদ্ধি তার থেকে অনেক গুণ বেশি হতেই থাকবে।
[৬] তারা আরও বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ সর্বত্র মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে। আর এইসব জিনিসপত্রের বর্ধিত দাম সাধারণ জনগণকেই দিতে হবে। সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি বরং প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর মধ্যে এই মূল্য বৃদ্ধি সহ্য করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।
[৭] নেতারা বলেন, সরকার যে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বলছে এটা কোনোভাবে যৌক্তিক নয়। সরকার যে নীতিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানিখাত পরিচালনা করছে, তাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে, তার দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।
[৮] সরকার ভুলনীতি ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি করেই প্রকারান্তরে জনগণের কাঁধে শাস্তির বোঝা চাপাচ্ছে বলে মনে করেন বাম জোটের নেতারা।
[৯] বিবৃতিতে ১ মার্চ বা সুবিধা মত সময় যার যার অবস্থান থেকে রাজপথে নেমে এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আরএইচ/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :